ইসরায়েলের কুখ্যাত “সেদে তেমান” কারাগারে ফিলিস্তিনি এক বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সামরিক অ্যাটর্নি জেনারেল ইফআত তোমের ইরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
ইসরায়েলের সামরিক অ্যাটর্নি জেনারেল ইফআত তোমের ইরুশালমি শুক্রবার পদত্যাগপত্র জমা দেন, “সেদে তেমান” কারাগার থেকে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওর ঘটনায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনারা এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্মমভাবে পেটাচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সেদে তেমান কারাগার বন্ধের দাবি তোলে।
ইরুশালমি পরবর্তীতে স্বীকার করেন, তিনি “সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে কিছু উপকরণ প্রকাশে অনুমোদন দিয়েছিলেন।” ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়থ আহরনোথ জানায়, তিনি এ বিষয়টিকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে স্বীকার করেছেন।
সামরিক রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান আইয়াল জামিরের সঙ্গে বৈঠকেই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতস বলেন, “এটি একটি গুরুতর ঘটনা যা বিশ্বব্যাপী সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ভিডিও ফাঁসের ঘটনার ওপর আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সামরিক অ্যাটর্নি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন। ভিডিওটি প্রথম ফাঁস হয় আগস্ট ২০২৪ সালে। এতে দেখা যায়, সেনারা ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুখ নিচে করে ফেলে রেখে লাঠি ও ঢাল দিয়ে আঘাত করছেন। গুরুতর আহত বন্দিকে পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ পাঁচজন ইসরায়েলি সৈন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়, যাদের হাতে ওই বন্দি পাঁজরের হাড় ভাঙা ও অন্ত্রফাটাসহ মারাত্মকভাবে আহত হন। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দাবি, গাজার যুদ্ধের পর থেকে বন্দিদের ওপর নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন, যাদের অনেকেই শিশু ও নারী। তাদের ওপর নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা অবহেলায় বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের টানা সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার পুনর্গঠনে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫
ইসরায়েলের কুখ্যাত “সেদে তেমান” কারাগারে ফিলিস্তিনি এক বন্দিকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁসের পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে। এ ঘটনার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সামরিক অ্যাটর্নি জেনারেল ইফআত তোমের ইরুশালমি পদত্যাগ করেছেন।
ইসরায়েলের সামরিক অ্যাটর্নি জেনারেল ইফআত তোমের ইরুশালমি শুক্রবার পদত্যাগপত্র জমা দেন, “সেদে তেমান” কারাগার থেকে ফাঁস হওয়া এক ভিডিওর ঘটনায়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ইসরায়েলি সেনারা এক ফিলিস্তিনি বন্দিকে নির্মমভাবে পেটাচ্ছেন। ঘটনাটি প্রকাশ পেলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং সেদে তেমান কারাগার বন্ধের দাবি তোলে।
ইরুশালমি পরবর্তীতে স্বীকার করেন, তিনি “সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ঠেকাতে কিছু উপকরণ প্রকাশে অনুমোদন দিয়েছিলেন।” ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়থ আহরনোথ জানায়, তিনি এ বিষয়টিকে নিজের দায়িত্ব হিসেবে স্বীকার করেছেন।
সামরিক রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রধান আইয়াল জামিরের সঙ্গে বৈঠকেই তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাতস বলেন, “এটি একটি গুরুতর ঘটনা যা বিশ্বব্যাপী সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ভিডিও ফাঁসের ঘটনার ওপর আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং সামরিক অ্যাটর্নি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন। ভিডিওটি প্রথম ফাঁস হয় আগস্ট ২০২৪ সালে। এতে দেখা যায়, সেনারা ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুখ নিচে করে ফেলে রেখে লাঠি ও ঢাল দিয়ে আঘাত করছেন। গুরুতর আহত বন্দিকে পরবর্তীতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ পাঁচজন ইসরায়েলি সৈন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়, যাদের হাতে ওই বন্দি পাঁজরের হাড় ভাঙা ও অন্ত্রফাটাসহ মারাত্মকভাবে আহত হন। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে।
ইসরায়েলের মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর দাবি, গাজার যুদ্ধের পর থেকে বন্দিদের ওপর নির্যাতন ভয়াবহভাবে বেড়েছে। বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি আটক রয়েছেন, যাদের অনেকেই শিশু ও নারী। তাদের ওপর নির্যাতন, অনাহার ও চিকিৎসা অবহেলায় বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের টানা সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৬০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজার পুনর্গঠনে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।

আপনার মতামত লিখুন