গাজা সরকার জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় মাত্র ৩,২০৩টি সহায়তা ও বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশ করেছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ে অন্তত ১৩,২০০ ট্রাক ঢোকার কথা ছিল। ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাজা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে গাজায় প্রবেশ করা মোট ৩,২০৩টি ট্রাকের মধ্যে ২,৫৬৪টি ছিল মানবিক সহায়তা বহনকারী এবং ৬৩৯টি বাণিজ্যিক ট্রাক। এর মধ্যে ৮৪টি ট্রাক ডিজেল ও ৩১টি গ্যাস সরবরাহ করেছিল।
বাণিজ্যিক ট্রাকগুলোর মধ্যে ২৯৩টি ছিল খাদ্যবাহী, ২২০টি বিভিন্ন পণ্য, ৮২টি পোশাক, ২৩টি গৃহস্থালি সামগ্রী, ১০টি যন্ত্রপাতি, ৬টি জ্বালানি, ৪টি চিকিৎসা খাতের জন্য এবং ১টি গাড়ির যন্ত্রাংশবাহী।
গড় হিসেবে প্রতিদিন গাজায় ঢুকেছে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক, যেখানে চুক্তি অনুযায়ী ৬০০টি ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল—এর মধ্যে ৫০টি জ্বালানিবাহী। ফলে ইসরাইলের প্রতিশ্রুত বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশে। জ্বালানিবাহী ট্রাকের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ—প্রবেশ করেছে মাত্র ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ১১৫টি ট্রাক, যেখানে প্রত্যাশিত ছিল ১,১০০টি।
গাজা সরকারের মুখপাত্র বলেন, “এই অব্যাহত বাধা ও জ্বালানি সরবরাহে বিলম্ব ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতাল, বেকারি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অচল করে দিচ্ছে।”
তিনি ইসরাইলকে ২৪ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির মানবিক বিপর্যয়ের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান, যাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তসমূহ বাস্তবায়ন হয় এবং সাহায্য প্রবেশে বাধা না দেওয়া হয়।
তবে, সীমিত এই সহায়তাও চলমান দুর্ভিক্ষ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় রোধে কোনো কার্যকর পরিবর্তন আনতে পারেনি। দুই বছরের ইসরাইলি অভিযানে গাজায় অন্তত ৬৮,৮৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানায় বিশ্বব্যাংকের পূর্ববর্তী তথ্য।

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ নভেম্বর ২০২৫
গাজা সরকার জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে অক্টোবর মাসের শেষ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় মাত্র ৩,২০৩টি সহায়তা ও বাণিজ্যিক ট্রাক প্রবেশ করেছে। অথচ চুক্তি অনুযায়ী এ সময়ে অন্তত ১৩,২০০ ট্রাক ঢোকার কথা ছিল। ফলে মানবিক সংকট আরও তীব্র হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাজা সরকারের তথ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির ২২ দিনের মধ্যে গাজায় প্রবেশ করা মোট ৩,২০৩টি ট্রাকের মধ্যে ২,৫৬৪টি ছিল মানবিক সহায়তা বহনকারী এবং ৬৩৯টি বাণিজ্যিক ট্রাক। এর মধ্যে ৮৪টি ট্রাক ডিজেল ও ৩১টি গ্যাস সরবরাহ করেছিল।
বাণিজ্যিক ট্রাকগুলোর মধ্যে ২৯৩টি ছিল খাদ্যবাহী, ২২০টি বিভিন্ন পণ্য, ৮২টি পোশাক, ২৩টি গৃহস্থালি সামগ্রী, ১০টি যন্ত্রপাতি, ৬টি জ্বালানি, ৪টি চিকিৎসা খাতের জন্য এবং ১টি গাড়ির যন্ত্রাংশবাহী।
গড় হিসেবে প্রতিদিন গাজায় ঢুকেছে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক, যেখানে চুক্তি অনুযায়ী ৬০০টি ট্রাক প্রবেশের কথা ছিল—এর মধ্যে ৫০টি জ্বালানিবাহী। ফলে ইসরাইলের প্রতিশ্রুত বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৪ শতাংশে। জ্বালানিবাহী ট্রাকের ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ—প্রবেশ করেছে মাত্র ১০ শতাংশ, অর্থাৎ ১১৫টি ট্রাক, যেখানে প্রত্যাশিত ছিল ১,১০০টি।
গাজা সরকারের মুখপাত্র বলেন, “এই অব্যাহত বাধা ও জ্বালানি সরবরাহে বিলম্ব ইচ্ছাকৃতভাবে হাসপাতাল, বেকারি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অচল করে দিচ্ছে।”
তিনি ইসরাইলকে ২৪ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনির মানবিক বিপর্যয়ের জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং অন্যান্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে দ্রুত হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান, যাতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তসমূহ বাস্তবায়ন হয় এবং সাহায্য প্রবেশে বাধা না দেওয়া হয়।
তবে, সীমিত এই সহায়তাও চলমান দুর্ভিক্ষ ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় রোধে কোনো কার্যকর পরিবর্তন আনতে পারেনি। দুই বছরের ইসরাইলি অভিযানে গাজায় অন্তত ৬৮,৮৫৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন বলে জানায় বিশ্বব্যাংকের পূর্ববর্তী তথ্য।

আপনার মতামত লিখুন