প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
স্বর্ণ চোরাচালান সিআইডি ৬ জনের বিরুদ্ধে ৬০৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলা
মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা, হুন্ডি কার্যক্রম পরিচালনা এবং স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে প্রায় ৬০৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে সিআইডি ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অজ্ঞাতনামা ৫–৭ জনকেও আসামি করা হয়েছে।সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান বুধবার জানান, মামলা করা হয়েছে—অভিযোগে বলা হয়েছে, মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাস (৫০), ওয়াহিদুজ্জামান (৫২), মো. গোলাম সারওয়ার আজাদ (৫১), মো. তরিকুল ইসলাম @ রিপন ফকির (৪৯), রাজীব সরদার (৩৭) এবং উজ্জ্বল কুমার সাধু (৩৮) এই প্রতারণা ও মানিলন্ডারিং চক্রের মূল অভিযুক্ত।পুলিশ জানিয়েছে, একটি মার্কিন নাগরিক ডেবোরাহ জন্সটন রামলো ‘ডেবি’-এর সঙ্গে এই চক্র সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে ব্ল্যাকমেইল এবং ছল-চাতুরীর মাধ্যমে দুই লাখ ২২ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা) আত্মসাৎ করতে বাধ্য করে। এরপর সেই অর্থ বিভিন্ন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর কাছ দিয়ে এবং তাদের অভিভাবকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে হুন্ডি কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং নামসর্বস্ব বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে লেনদেন করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে নাম উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানগুলো—আইনক্স ফ্যাশন, ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, জামান এন্টারপ্রাইজ ও নোহা এন্টারপ্রাইজ। এদের ব্যাংক একাউন্টগুলোতে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত লেনদেনের রেকর্ড পাওয়া গেছে। এছাড়া মনীন্দ্র নাথ বিশ্বাসের একাউন্টেও অবৈধ লেনদেনের তথ্য ধরা পড়েছে।মামলার অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, অভিযুক্তরা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যমে তারা মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত ব্যক্তিদের কাছ থেকে স্বর্ণ সংগ্রহ করে ঢাকার তাঁতিবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে তা বিক্রি করেছে।প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, এই চক্র প্রায় ৬০৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৭২ টাকা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রূপান্তর করেছে। এই অর্থ ভোগ-বিলাস, অর্থপাচার ও নামে-বেনামে সম্পত্তি অর্জনে ব্যবহার হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, এ সংক্রান্তে ডিএমপি কোতয়ালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত