প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শহীদ সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ২৫৪: সরকারি মিডিয়া অফিস
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও দুই সাংবাদিক নিহত হওয়ার পর শহীদ সাংবাদিকদের সংখ্যা ২৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার (০১ অক্টোবর ২০২৫) গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। অফিসটি পদ্ধতিগতভাবে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের টার্গেট করার জন্য ইসরায়েলকে কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছে এবং এই জঘন্য অপরাধের জন্য ইসরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোকে সরাসরি দায়ী করেছে।গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানায়, ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সামি দাউদ এবং ইয়াহইয়া মোহাম্মাদ বারজাকের মৃত্যুর পর গত ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া "গণহত্যা যুদ্ধ"-এর শিকার সাংবাদিকদের সংখ্যা ২৫৪-এ পৌঁছেছে। সামি দাউদ 'রাওয়াফিদ' টেলিভিশন চ্যানেলে কাজ করতেন এবং ইয়াহইয়া মোহাম্মাদ বারজাক একাধিক গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী পরিকল্পিতভাবে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের টার্গেট করছে, হত্যা করছে এবং তাদের নির্মূল করছে। মিডিয়া অফিস আরব ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা গাজার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই পদ্ধতিগত অপরাধের নিন্দা জানায়।তারা ইসরায়েল, মার্কিন প্রশাসন এবং যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোকে এই 'জঘন্য ও বর্বরোচিত' অপরাধের জন্য সম্পূর্ণ দায়ী করে। সরকারি মিডিয়া অফিস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জোরালো চাপ প্রয়োগের দাবি জানায়—যাতে গাজায় গণহত্যা বন্ধ হয়, সেখানকার সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় এবং তাদের হত্যা ও নির্মূলের এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে থামানো হয়।উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আক্রমণে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও ইউরোপীয় সংস্থাগুলোর বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় সাংবাদিকদের টার্গেট করা অব্যাহত রেখেছে। এই গণহত্যায় ৬৬,১৪৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৬৮,৭১৬ জনেরও বেশি আহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী। পাশাপাশি, ৪৫৫ জন ফিলিস্তিনি, যার মধ্যে ১৫১ জন শিশু, অনাহারে মারা গেছেন।
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত