প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
কুলাউড়ায় চা শ্রমিক সর্দার হত্যার প্রধান অভিযুক্ত গোলাপ সতনামী আটক
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ক্লিবডন চা বাগানের শ্রমিক সর্দার রামবচন গোয়ালা হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত গোলাপ সতনামীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোরে কামিনীগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত কোদালের হাতল, মোটরসাইকেলসহ একাধিক আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) মো. আজমল হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জুড়ী থানার ওসি মো. মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ মিয়া।পুলিশ জানায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রামবচন গোয়ালা (৪০) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। পরদিন তার স্বজনরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে জুড়ীর কাপনাপাহাড় চা বাগান এলাকায় রক্তের দাগ ও স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে বাবুনালা ছড়া থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার ভোরে অভিযুক্ত গোলাপ সতনামীকে (৩৩) গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোন, জুতা, লাঠি বাঁধার গামছার টুকরা, ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত কোদালের হাতল উদ্ধার করা হয়।জিজ্ঞাসাবাদে গোলাপ সতনামী স্বীকার করে, ২০১৭ সালে নিহত রামবচনের কারণে সে চাকরি হারায়। দীর্ঘদিনের ক্ষোভ থেকে সে হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মদপানের প্রলোভন দেখিয়ে মোটরসাইকেলে রামবচনকে নিয়ে যায় রত্না চা বাগানে। সেখানে চন্দন নামের এক ব্যক্তিসহ তারা মদ পান করে। ফেরার পথে বাবুনালা ছড়ার কাছে মোটরসাইকেল থামিয়ে গোলাপ কোদালের হাতল দিয়ে রামবচনের মাথায় একাধিক আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।পরে গোলাপ সোনারূপা চা বাগানে গিয়ে এক ব্যক্তিকে বিষয়টি জানায়। দুজনে মিলে লাশ টেনে ছড়ার ধারে নিয়ে যায় এবং গাছপালা ও মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত গোলাপ সতনামীর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলছে। চন্দন নামের সহঅভিযুক্তকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত