গাজীপুরে সংঘটিত এক ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ে চক্রের মূল হোতা ও সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে লুণ্ঠিত মালামাল ও অস্ত্রশস্ত্র।সিআইডির এলআইসি ইউনিটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গাজীপুর মেট্রো ও জেলা সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাত জয়নাল (৪৩)-কে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের বাসন থানার তালতলা রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাহেদ মিয়ার নেতৃত্ব ও তত্ত্বাবধানে গঠিত বিশেষ অভিযানি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন সিআইডির মিডিয়া শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ধীরাশ্রম এলাকায় মো. আব্দুল সোবহানের বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতদল হামলা চালায়। তারা ধারালো রামদা, চাপাতি, কিরিচ, ছোরা, লোহার রড ও বড় কাটারসহ সজ্জিত অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে বাড়িটি তছনছ করে তারা স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ২২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এসময় পরিবারের কয়েকজন সদস্য ও ভাড়াটিয়াকে শারীরিকভাবে আঘাতও করে।ঘটনার পরপরই সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে। তদন্তের ধারাবাহিকতায় ৪ অক্টোবর ঢাকার সবুজবাগ থানার নন্দীপাড়া এলাকা থেকে ডাকাত দলের সর্দার মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত মোবাইল ফোন, ডাকাতির সময় ব্যবহৃত ৬টি ককটেল, ১১টি টর্চলাইট ও একটি কাটার উদ্ধার করে সিআইডি।সিআইডি জানায়, গ্রেপ্তার জয়নালকে আদালতে সোপর্দ ও রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। অপরাধের পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদঘাটন, অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য তদন্ত ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুর মেট্রো ও জেলা সিআইডি বর্তমানে ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যাতে পুরো ডাকাত চক্রের নেটওয়ার্ক উন্মোচিত হয়।