প্রকাশের তারিখ : ১৯ অক্টোবর ২০২৫
লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু
দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী লেবাননের সীমান্তজুড়ে রবিবার সন্ধ্যা থেকে একটি বৃহৎ সামরিক মহড়া শুরু করেছে, যা চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এই পদক্ষেপ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বারবার লঙ্ঘিত হচ্ছে।দখলদার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিখাই আদ্রেই এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আজ সন্ধ্যা থেকে গ্যালিলি অঞ্চলে লেবানন সীমান্ত বরাবর একটি ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু হচ্ছে, যা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এতে অংশ নিচ্ছে স্থল, নৌ ও আকাশবাহিনীসহ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী।”এই মহড়ার লক্ষ্য—“বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও তাৎক্ষণিক হুমকির প্রতিক্রিয়া প্রদানের দক্ষতা বৃদ্ধি।” মহড়ার সময় বিস্ফোরণের শব্দ, ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের গর্জনসহ নানান অনুকরণমূলক যুদ্ধচিত্র দেখা যাবে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।ইসরায়েল দাবি করেছে, এই অনুশীলন ছিল আগেই নির্ধারিত ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার অংশ। তবে বিশ্লেষকদের মতে, হিজবুল্লাহর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এই মহড়া এক ধরনের “শক্তি প্রদর্শন”।গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ ও পূর্ব লেবাননের অন্তত ১২টি স্থানে বিমান হামলা চালায়, যাতে একজন নিহত ও ১১ জন আহত হন। এর আগে এক ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ লেবাননের কাফরডুনিন-দিরকিফা সড়কে একজন খননযন্ত্রচালক নিহত হন।২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও, ইসরায়েল তা ইতিমধ্যে ৪,৫০০ বারেরও বেশি লঙ্ঘন করেছে বলে লেবাননের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব হামলায় শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
বর্তমানে ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের পাঁচটি কৌশলগত পাহাড়ি এলাকা দখল করে রেখেছে, যা তারা সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ ছাড়া আরও কিছু অঞ্চল রয়েছে, যেগুলো ইসরায়েল দীর্ঘ দশক ধরে অধিকৃত করে রেখেছে।
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত