প্রকাশের তারিখ : ১০ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকায় একদিনে একাধিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগ: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির আশঙ্কা
রাজধানী ঢাকায় একদিনে একাধিক স্থানে বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। মিরপুর, ধানমন্ডি ও খিলগাঁও এলাকায় পরপর ককটেল বিস্ফোরণ ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর নেই, তবে পুলিশের ধারণা—ঘটনাগুলো পূর্বপরিকল্পিত নাশকতার অংশ হতে পারে।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরের পাশে শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, পদচারী সেতু থেকে দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরণ ঘটায়। কেউ হতাহত না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।একই সময়ে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলে এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ শুরু করেছে।এর প্রায় এক ঘণ্টা পর, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা শিহাব সরকার বলেন, “মোহাম্মদপুর স্টেশন থেকে একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।”বাসে থাকা কয়েকজন শিক্ষার্থী আগুন লাগার পর নিরাপদে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন বলে জানান ধানমন্ডি বিভাগের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।দিনের শুরু থেকেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত সাতটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডির বেশ কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।এ ছাড়া ভোরে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাস এবং সকাল সোয়া ছয়টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।যদিও এসব ঘটনায় কেউ নিহত বা আহত হয়নি, তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন—ঘটনাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাগুলোর পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত