প্রকাশের তারিখ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫
আলেমদেরকে আর ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না: মুফতী রেজাউল করীম
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ, এবং ইমাম-খতীবদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সম্মিলিত ইমাম-খতীব পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত 'ইমাম–খতীব জাতীয় সম্মেলন'। রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজারো ইমাম–খতীবদের উপস্থিতিতে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, অতীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উলামায়ে কেরামের সরলতা ও জনমান্যতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে। সেই পুরোনো ধারার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আলেম সমাজকে এখন সজাগ থাকতে হবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, "আলেমদেরকে আর ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না।"তিনি বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে ইসলামের পক্ষে দেশজুড়ে একটি গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, যার মাধ্যমে আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের আদর্শে গড়া বাংলাদেশ। তিনি অভিযোগ করে বলেন, অতীতে উলামায়ে কেরামকে নানাভাবে নির্যাতন, খুন, গুম এবং মামলার শিকার হতে হয়েছে—সেই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি আর হতে দেওয়া হবে না।সম্মেলন থেকে উত্থাপিত মূল দাবির প্রসঙ্গে মুফতী রেজাউল করীম বলেন, "আল্লাহ যদি সুযোগ দেন, তাহলে আপনাদের খাদেম হিসেবে আপনাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।"সম্মেলনে বক্তারা জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ উপস্থাপন করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিশ্চিত করা।মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা।ইমাম–খতীবদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানজনক ভাতা চালু করা।মসজিদ পরিচালনার জন্য একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়ন করা।সম্মেলনে সম্মিলিত ইমাম–খতীব পরিষদের আহ্বায়ক মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাকী সভাপতিত্ব করেন। এটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মুফতী আজহারুল ইসলাম ও যুগ্ম সদস্য সচিব মুফতী শরিফুল্লাহ। এই বৃহৎ পরিসরের সম্মেলনে (ভার্চুয়ালি) দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অংশগ্রহণ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর ছাড়াও (ভার্চুয়ালি) বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত