সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিবে দ্রুজি সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ সুয়েইদায় উত্থাপিত বিচ্ছিন্নতাবাদী দাবির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। তারা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছে, “সিরিয়ার একতা অটুট থাকবে, বিভক্তির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করা হবে।”
সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের সুম্মাক পাহাড়ে জড়ো হয়ে দ্রুজি সম্প্রদায়ের সদস্যরা শনিবার (১৬ আগস্ট) এক বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। সুয়েইদা অঞ্চলের কিছু মহল যখন ইসরায়েলের সহায়তায় ফেডারেল কাঠামো গঠনের ডাক দিচ্ছে, তখন ইদলিবের দ্রুজিরা এসব উদ্যোগের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে—“সিরিয়া এক, বিভক্ত নয়”, “সুয়েইদার দিকনির্দেশনা দামেস্ক” এবং “ইসরায়েলের খেলায় আমরা নেই।”
প্রদর্শনকারীরা ব্যানারে লিখে এনেছিলেন—“সিরিয়া জনগণ ঐক্যবদ্ধ”, “বিভক্তি নয়, ঐক্য চাই”, “ইসরায়েলকে প্রত্যাখ্যান করো।” তাদের মতে, সুয়েইদার বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আসলে “বিদেশি শক্তির হাতিয়ার” এবং সাধারণ জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করে না।
প্রতিবাদকারীদের একজন, হালিদ আলি, বলেন, “কিছু গোষ্ঠী ইসরায়েলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে সিরিয়া ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তারা সুয়েইদার ১০ শতাংশ মানুষেরও প্রতিনিধি নয়। আমরা এই প্রলোভনে পড়ব না।”
অন্য এক অংশগ্রহণকারী মাজেন রেজ্জুক দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—ইসরায়েল শত্রু। দামেস্কই আমাদের রাজধানী, সিরিয়ান জনগণই আমাদের ভাই।”
দ্রুজি নেতা হাম্মুদ চেরকেজ তুলনামূলক কাব্যিক ভাষায় মন্তব্য করেন, “যে নিজের পোশাক ফেলে দেয়, সে শীতে কাঁপবে। আমাদের পোশাক হলো সিরিয়া। ইসরায়েলের চাদরে কেউ উষ্ণতা পায় না।”
বিক্ষোভকারীরা আরো জানান, সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদায় যারা বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করছে তারা মূলত সমাজে বিভাজন ছড়াতে চায়। তবে দ্রুজি সম্প্রদায়ের বৃহত্তর অংশ দামেস্কের প্রতি আস্থাশীল এবং ঐক্যবদ্ধ সিরিয়ার পক্ষে।
অন্য এক বক্তা, হাজেম যায়দান, বলেন, “আমরা যতোই কঠিন সময়ে থাকি না কেন, সিরিয়ার ঐক্য ভাঙতে দেব না। আমাদের নেতা আহমেদ শারার নেতৃত্বে আমরা একটি অভিন্ন সিরিয়ার পক্ষে।”
এভাবে, ইদলিবের দ্রুজি সম্প্রদায়ের এই প্রতিবাদ স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, দেশের অভ্যন্তরে ইসরায়েল-সমর্থিত বা বিদেশি প্রভাবপুষ্ট কোনো বিভাজনমূলক উদ্যোগ সাধারণ মানুষের সমর্থন পাচ্ছে না।