অর্থবহ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জামায়াতের ৫ দফা বাস্তবায়ন জরুরি: ড. হেলাল উদ্দিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচনকে অর্থবহ ও অংশগ্রহণমূলক করতে জামায়াতের উত্থাপিত ৫ দফা বাস্তবায়ন ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি দাবি করেন, এই দাবিগুলো শুধু জামায়াত নয়— দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের অভিন্ন অবস্থানকে প্রতিফলিত করে।রোববার (৫ অক্টোবর) বিকেলে মতিঝিল পূর্ব থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত “গণসংযোগ পক্ষ” উপলক্ষে আয়োজিত দাওয়াতি অভিযান শেষে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।তিনি বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রতিষ্ঠা, সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি প্রবর্তন, সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চয়তা, ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন ও দুর্নীতির বিচার, এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ— এই ৫ দফা শুধু জামায়াতের নয়, বরং একটি দল ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দলের অভিন্ন দাবি।”ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “পুরো জাতি এখন এই ৫ দফা বাস্তবায়নের অপেক্ষায়। এই দাবিগুলো পূরণ করা গেলে জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারবে।”তিনি অভিযোগ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়নের কারণে দেশের তরুণ প্রজন্ম ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। “১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের তরুণেরা জন্মের পর থেকে একবারও ভোট দিতে পারেনি,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে জনগণ তাদের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেয়েছে।”সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, “যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়, তাহলে জনগণ ডাকসু নির্বাচনের মতোই ইসলামী মূল্যবোধের পক্ষে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটাবে।”বিচার ও সংস্কার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “যদি নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিচার না হয়, তারা কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করবে।”তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার এখনো তাদের দায়িত্বে সোচ্চার হয়নি। অপরাধীরা মনে করছে, তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবে। কিন্তু জনগণ সুযোগ পেলে ভোটের মাধ্যমেই তাদের বয়কট করবে।”
জাতির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে জাতিকে বৈষম্যহীন, সুশাসিত ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের আন্দোলনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ক্ষুধা, দারিদ্র্য, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”