নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোমবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা অভিযুক্তের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার এবং ভবিষ্যতে ধর্মীয় অবমাননা রোধে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন। সেখানে তারা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগান দেন এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী বায়তুল হক বলেন, “ইসলাম আমাদের আবেগের জায়গা। এখানে কেউ আঘাত করলে আমরা চুপ করে থাকতে পারি না। কুরআন ও নবী (সা.)-কে অবমাননা আমরা মেনে নেব না।”শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জায়েদ বলেন, “কুরআন অবমাননা করা মানে আল্লাহকে অবমাননা করা। যারা এমন কাজ করবে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”একই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “বাংলাদেশে ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে এখনো কোনো পৃথক আইন নেই। ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে একটি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন করা হলে এই ধরনের অপমানের পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “নতুন আইনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখলে কেউ ভবিষ্যতে এ ধরনের দুঃসাহস করবে না।” উল্লেখ্য, সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর নামে কুরআন অবমাননার অভিযোগযুক্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটির পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।