বিদ্যুৎ ও পানি সংকটের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে উত্তাল মাদাগাস্কার। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা সোমবার টেলিভিশন ভাষণে সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ দমনে সহিংসতায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বাধীন এ বিক্ষোভ সোমবার পর্যন্ত চলতে থাকে। মূলত জেন-জি প্রজন্মের তরুণরাই এতে নেতৃত্ব দেন।
সরকার ভাঙার ঘোষণা দিতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা জনগণের অভিযোগ স্বীকার করে সরকারের ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চান। তিনি বলেন,
“সরকারের সদস্যরা যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করে থাকেন তাহলে সেজন্য আমি দুঃখিত।”
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগের নতুন মাধ্যম খোলার প্রতিশ্রুতিও দেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন,
“বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পানি সরবরাহ সমস্যার কারণে জনগণের ক্ষোভ, দুঃখ ও অসুবিধা আমি বুঝতে পারি। তাদের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারি এবং দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে আমি সচেতন।”
আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশটির তিন কোটি মানুষের প্রায় ৭৫ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছিল।
বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতি মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। সরকারের ব্যর্থতা ও দীর্ঘমেয়াদি সংকটই এ আন্দোলনের প্রধান কারণ বলে স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিদ্যুৎ ও পানি সংকটের প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরে উত্তাল মাদাগাস্কার। দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনা সোমবার টেলিভিশন ভাষণে সরকার ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। বিক্ষোভ দমনে সহিংসতায় অন্তত ২২ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জাতিসংঘ নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বাধীন এ বিক্ষোভ সোমবার পর্যন্ত চলতে থাকে। মূলত জেন-জি প্রজন্মের তরুণরাই এতে নেতৃত্ব দেন।
সরকার ভাঙার ঘোষণা দিতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা জনগণের অভিযোগ স্বীকার করে সরকারের ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চান। তিনি বলেন,
“সরকারের সদস্যরা যদি তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন না করে থাকেন তাহলে সেজন্য আমি দুঃখিত।”
তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং তরুণদের সঙ্গে যোগাযোগের নতুন মাধ্যম খোলার প্রতিশ্রুতিও দেন।
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন,
“বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পানি সরবরাহ সমস্যার কারণে জনগণের ক্ষোভ, দুঃখ ও অসুবিধা আমি বুঝতে পারি। তাদের কষ্ট আমি অনুভব করতে পারি এবং দৈনন্দিন জীবনে এর প্রভাব সম্পর্কে আমি সচেতন।”
আফ্রিকার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কার দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশটির তিন কোটি মানুষের প্রায় ৭৫ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছিল।
বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতি মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা। সরকারের ব্যর্থতা ও দীর্ঘমেয়াদি সংকটই এ আন্দোলনের প্রধান কারণ বলে স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আপনার মতামত লিখুন