
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে। তিনি ইউপিডিএফ ও স্থানীয় জনগণকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, “ধর্ষণ ঘটনার সুযোগ নিয়ে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কিছু সংগঠন। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে।”
তিনি ইউপিডিএফকে দেশের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে ১৪৪ ধারা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা বলেন, খাগড়াছড়ির এই ঘটনায় রাঙামাটি ও বান্দরবানের উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তিনি সতর্ক করে বলেন, “বহিঃশক্তি বা কিছু মহল পেছন থেকে সাহায্য করছে। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে। যদি এলাকাটি অতিস্থিতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তবে এটি দেশের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রী ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের জেরে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ১৩ জনসহ মোট ২৫ জন আহত হয়।
সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং শান্তি রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিষয় : রাজনীতি আইনশৃঙ্খলা সেনাবাহিনী খাগড়াছড়ি ইউপিডিএফ
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে। তিনি ইউপিডিএফ ও স্থানীয় জনগণকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, “ধর্ষণ ঘটনার সুযোগ নিয়ে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে কিছু সংগঠন। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে।”
তিনি ইউপিডিএফকে দেশের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে ১৪৪ ধারা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা বলেন, খাগড়াছড়ির এই ঘটনায় রাঙামাটি ও বান্দরবানের উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া তিনি সতর্ক করে বলেন, “বহিঃশক্তি বা কিছু মহল পেছন থেকে সাহায্য করছে। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হতে পারে। যদি এলাকাটি অতিস্থিতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তবে এটি দেশের স্থিতিশীলতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রী ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের জেরে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর ১৩ জনসহ মোট ২৫ জন আহত হয়।
সেনাবাহিনী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার এবং শান্তি রক্ষায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন