মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ২০ দফা সমন্বিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। তবে ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, এতে ইসরায়েলের চাপানো শর্তই প্রতিফলিত হয়েছে এবং বাস্তবায়নের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। ফলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আশা জাগলেও পরিকল্পনার ব্যর্থতার শঙ্কাই প্রবল হয়ে উঠছে।
তবে ফিলিস্তিনিদের শঙ্কা, এই পরিকল্পনায় মূলত ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার ৫টি শর্তই প্রধান হয়ে উঠেছে—
ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক বিসাম আফিফে মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা “ইসরায়েলের শর্তের প্রতিলিপি”। এতে ফিলিস্তিনিদের মৌলিক দাবি—যেমন অবরোধ প্রত্যাহার, পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার, মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি—সবই শর্তসাপেক্ষ করা হয়েছে। তার মতে, এটি কেবল হামাস নয়, বরং পুরো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকে টার্গেট করছে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনার প্রথম ধাপেই “কোনো সন্ত্রাসী উপাদান থাকবে না” বলা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সংজ্ঞায় সব ধরনের প্রতিরোধ শক্তিকে গাজা প্রশাসন থেকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এ ধরনের অস্পষ্ট ও ফাঁকা ধারা পরিকল্পনার ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ফিলিস্তিনি নাগরিক আদিল নাহহাল মনে করেন, “এটি মূলত আত্মসমর্পণের সমান।” তবে দীর্ঘ রক্তপাত ও গণহত্যায় ক্লান্ত জনগণ শান্তির আশায় কিছুটা নমনীয় হতে বাধ্য হতে পারে। তিনি বলেন, “যদি বাস্তুচ্যুতদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হয় এবং জোরপূর্বক উচ্ছেদ বন্ধ থাকে, তবে মানুষ কিছুটা হলেও এই পরিকল্পনা মেনে নিতে পারে।”
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নাগরিক জামিল আয়িদে জোর দিয়ে বলেন, প্রকৃত সমাধান হবে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। তার মতে, ফিলিস্তিন প্রশ্ন সমাধান না হলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বেই শান্তি অচল থাকবে।
বিষয় : ফিলিস্তিন

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ২০ দফা সমন্বিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন। তবে ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, এতে ইসরায়েলের চাপানো শর্তই প্রতিফলিত হয়েছে এবং বাস্তবায়নের সুযোগ অত্যন্ত সীমিত। ফলে যুদ্ধ শেষ হওয়ার আশা জাগলেও পরিকল্পনার ব্যর্থতার শঙ্কাই প্রবল হয়ে উঠছে।
তবে ফিলিস্তিনিদের শঙ্কা, এই পরিকল্পনায় মূলত ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার ৫টি শর্তই প্রধান হয়ে উঠেছে—
ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক বিসাম আফিফে মন্তব্য করেছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা “ইসরায়েলের শর্তের প্রতিলিপি”। এতে ফিলিস্তিনিদের মৌলিক দাবি—যেমন অবরোধ প্রত্যাহার, পূর্ণ সেনা প্রত্যাহার, মানবিক পরিস্থিতির উন্নতি—সবই শর্তসাপেক্ষ করা হয়েছে। তার মতে, এটি কেবল হামাস নয়, বরং পুরো ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনকে টার্গেট করছে।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনার প্রথম ধাপেই “কোনো সন্ত্রাসী উপাদান থাকবে না” বলা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সংজ্ঞায় সব ধরনের প্রতিরোধ শক্তিকে গাজা প্রশাসন থেকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এ ধরনের অস্পষ্ট ও ফাঁকা ধারা পরিকল্পনার ব্যর্থতার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ফিলিস্তিনি নাগরিক আদিল নাহহাল মনে করেন, “এটি মূলত আত্মসমর্পণের সমান।” তবে দীর্ঘ রক্তপাত ও গণহত্যায় ক্লান্ত জনগণ শান্তির আশায় কিছুটা নমনীয় হতে বাধ্য হতে পারে। তিনি বলেন, “যদি বাস্তুচ্যুতদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা হয় এবং জোরপূর্বক উচ্ছেদ বন্ধ থাকে, তবে মানুষ কিছুটা হলেও এই পরিকল্পনা মেনে নিতে পারে।”
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি নাগরিক জামিল আয়িদে জোর দিয়ে বলেন, প্রকৃত সমাধান হবে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান এবং দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান। তার মতে, ফিলিস্তিন প্রশ্ন সমাধান না হলে শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, গোটা বিশ্বেই শান্তি অচল থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন