ঢাকা    মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা    মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

নেতৃত্বকারী জাহাজগুলোতে জ্যামিং ও বাধা—তবুও ৫০টিরও বেশি জাহাজ গাজার দিকে অগ্রসর; ইসরায়েলি নৌবহর পরে প্রত্যাহার করে।

গাজার উদ্দেশ্যে সুমুদ ফ্লোটিলার অগ্রযাত্রায় ইসরায়েলি জাহাজের ইলেকট্রনিক হামলা


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

গাজার উদ্দেশ্যে সুমুদ ফ্লোটিলার অগ্রযাত্রায় ইসরায়েলি জাহাজের ইলেকট্রনিক হামলা

আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ও অভিন্ন প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গাজার উদ্দেশ্যে এগুচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলা। বহরের দাবি, ইসরায়েলি জাহাজগুলো তাদের নেতৃত্বাধীন জাহাজগুলোতে ইলেকট্রনিক সিস্টেমে বাধা সৃষ্টি করলেও বহর যাত্রা থামায়নি এবং গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে চলেছে।

আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত সুমুদ ফ্লোটিলা (০১ অক্টোবর ২০২৫) জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌযানগুলো তাদের কয়েকটি নেতৃত্বস্থিত জাহাজের কাছাকাছি এসে ইলেকট্রনিক জ্যামিং ও বাধা সৃষ্টি করেছে। মাগরেব অঞ্চলের পরিচালনা কমিটির সদস্য ওয়াইল নওয়ারের বরাতে বহরটি জানায়, প্রথমে ‘আলমা’ নামের নেতৃত্বজাহাজ লক্ষ্য করে ইসরায়েলি নৌবহর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে; পরবর্তী পর্যায়ে তারা বহরের আরেকটি নেতৃত্বজাহাজ ‘সিরিয়াস’-কে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছিল।

নওয়ারের বিবরণ অনুযায়ী, ইসরায়েলি নৌযানগুলো মূলত পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করছিল যে—কোনো পরিস্থিতিতেই সম্মুখস্থ জাহাজগুলো থেমে পড়বে কি না। কিন্তু বহরের সদস্যরা বলছেন, “যদি ৪৭টি জাহাজ থেমে যায়, ৪৮তম জাহাজ তখনও গাজার দিকে এগিয়ে যাবে”—এমন মনোভাব বজায় রেখে তারা অভিযাত্রা চালিয়ে গেছে। অবশেষে ইসরায়েলি জাহাজগুলো পরিস্থিতি দেখে পিছু হটেন।

ফ্লোটিলাটি জানিয়েছে তারা গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছেছে এবং ‘উচ্চ ঝুঁকির অঞ্চল’-এ প্রবেশের পর থেকেই সতর্ক অবস্থায় আছে। বহর ইস্যুকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী কিছু মানবাধিকার সংগঠন, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, তাদের সুরক্ষারত অনুরোধ জানিয়েছে। জাতিসংঘও প্রত্যাহ্বান করেছে যে—কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহর বা মানবিক সহায়তাকারী জাহাজে আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।

ইসরায়েলের সরকারি বা সামরিক পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিক্রিয়া প্রদান করলে তা এখনও বহরের ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি-বিবৃতির সঙ্গে মিশ্রভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। উল্লেখ্য, ইতিহাসগতভাবে গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সংঘাত ও অবরোধের কারণে সেখানে মানবিক সংকট তীব্র—খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের অভাব চরম আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতি কয়েকবারই ইসরায়েল বিভিন্ন সময়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া জাহাজ বা বহরকে আটক বা জাহাজ জব্দের ঘটনা ঘটিয়েছে; এই অ্যাকশনগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে সক্রিয় অব্যবহার ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তৎপরতা বেড়েছে। সুমুদ ফ্লোটিলার এই যাত্রাকে অনেক দেশ ও সংগঠন মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ ও অবরোধ ভাঙার একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখছে।

বিষয় : সুমুদ ফ্লোটিলা

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫


গাজার উদ্দেশ্যে সুমুদ ফ্লোটিলার অগ্রযাত্রায় ইসরায়েলি জাহাজের ইলেকট্রনিক হামলা

প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ও অভিন্ন প্রতিবাদের অংশ হিসেবে গাজার উদ্দেশ্যে এগুচ্ছে সুমুদ ফ্লোটিলা। বহরের দাবি, ইসরায়েলি জাহাজগুলো তাদের নেতৃত্বাধীন জাহাজগুলোতে ইলেকট্রনিক সিস্টেমে বাধা সৃষ্টি করলেও বহর যাত্রা থামায়নি এবং গাজার উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়ে চলেছে।

আন্তর্জাতিকভাবে সংগঠিত সুমুদ ফ্লোটিলা (০১ অক্টোবর ২০২৫) জানিয়েছে, ইসরায়েলি নৌযানগুলো তাদের কয়েকটি নেতৃত্বস্থিত জাহাজের কাছাকাছি এসে ইলেকট্রনিক জ্যামিং ও বাধা সৃষ্টি করেছে। মাগরেব অঞ্চলের পরিচালনা কমিটির সদস্য ওয়াইল নওয়ারের বরাতে বহরটি জানায়, প্রথমে ‘আলমা’ নামের নেতৃত্বজাহাজ লক্ষ্য করে ইসরায়েলি নৌবহর হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে; পরবর্তী পর্যায়ে তারা বহরের আরেকটি নেতৃত্বজাহাজ ‘সিরিয়াস’-কে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছিল।

নওয়ারের বিবরণ অনুযায়ী, ইসরায়েলি নৌযানগুলো মূলত পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করছিল যে—কোনো পরিস্থিতিতেই সম্মুখস্থ জাহাজগুলো থেমে পড়বে কি না। কিন্তু বহরের সদস্যরা বলছেন, “যদি ৪৭টি জাহাজ থেমে যায়, ৪৮তম জাহাজ তখনও গাজার দিকে এগিয়ে যাবে”—এমন মনোভাব বজায় রেখে তারা অভিযাত্রা চালিয়ে গেছে। অবশেষে ইসরায়েলি জাহাজগুলো পরিস্থিতি দেখে পিছু হটেন।

ফ্লোটিলাটি জানিয়েছে তারা গাজার উপকূল থেকে প্রায় ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে পৌঁছেছে এবং ‘উচ্চ ঝুঁকির অঞ্চল’-এ প্রবেশের পর থেকেই সতর্ক অবস্থায় আছে। বহর ইস্যুকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী কিছু মানবাধিকার সংগঠন, যেমন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, তাদের সুরক্ষারত অনুরোধ জানিয়েছে। জাতিসংঘও প্রত্যাহ্বান করেছে যে—কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহর বা মানবিক সহায়তাকারী জাহাজে আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়।

ইসরায়েলের সরকারি বা সামরিক পক্ষ থেকে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিক্রিয়া প্রদান করলে তা এখনও বহরের ঘোষণা ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দাবি-বিবৃতির সঙ্গে মিশ্রভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। উল্লেখ্য, ইতিহাসগতভাবে গাজা উপত্যকা দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সংঘাত ও অবরোধের কারণে সেখানে মানবিক সংকট তীব্র—খাদ্য, ওষুধ ও আশ্রয়ের অভাব চরম আকার ধারণ করেছে।

সম্প্রতি কয়েকবারই ইসরায়েল বিভিন্ন সময়ে গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া জাহাজ বা বহরকে আটক বা জাহাজ জব্দের ঘটনা ঘটিয়েছে; এই অ্যাকশনগুলোর মধ্যে মাঝে মাঝে সক্রিয় অব্যবহার ও কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও তৎপরতা বেড়েছে। সুমুদ ফ্লোটিলার এই যাত্রাকে অনেক দেশ ও সংগঠন মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ ও অবরোধ ভাঙার একটি পরীক্ষা হিসেবে দেখছে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত