মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত গাজা বিষয়ক শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর পক্ষ থেকে উত্থাপিত মূল খসড়ার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি পার্লামেন্টে জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি "পাকিস্তানের পরিকল্পনা নয়" এবং এতে কিছু "পরিবর্তন" আনা হয়েছে। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ট্রাম্পের উদ্যোগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) ইসলামাবাদে দেশটির আইনপ্রণেতাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা সংকট নিরসনে যে ২০-দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত মূল খসড়ার সঙ্গে মেলে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দার সংসদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ট্রাম্পের ঘোষিত এই ২০টি দফা আমাদের পক্ষ থেকে নয়। এটি আমাদের [মূল খসড়ার] মতো নয়।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি বলছি, আমাদের কাছে যে খসড়া ছিল, তাতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।" এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভিন্ন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাঁর এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ সমাপ্ত করা। এই পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত বা মৃত সকল বন্দীকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজাকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি নতুন নাম দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে—সেটি হলো "নতুন গাজা" (New Gaza)। তবে, পরিকল্পনার অনেক বিস্তারিত বিষয় আলোচনার জন্য আলোচকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিশদ তথ্যের অভাব এবং মূল প্রস্তাবে পরিবর্তনের অভিযোগ—উভয়ই পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন এবং মুসলিম বিশ্বের সমর্থন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানের এই স্পষ্ট অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কণ্ঠস্বর এবং তাদের প্রত্যাশার গুরুত্ব তুলে ধরে। ইসলামাবাদ মনে করছে, চূড়ান্ত পরিকল্পনায় তাদের সম্মিলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটেনি।
বিষয় : পাকিস্তান

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত গাজা বিষয়ক শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর পক্ষ থেকে উত্থাপিত মূল খসড়ার সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি পার্লামেন্টে জোর দিয়ে বলেছেন যে এটি "পাকিস্তানের পরিকল্পনা নয়" এবং এতে কিছু "পরিবর্তন" আনা হয়েছে। এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে ট্রাম্পের উদ্যোগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ৪ অক্টোবর (শুক্রবার) ইসলামাবাদে দেশটির আইনপ্রণেতাদের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন। তিনি নিশ্চিত করেন যে চলতি সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা সংকট নিরসনে যে ২০-দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন, তা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত মূল খসড়ার সঙ্গে মেলে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দার সংসদের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ট্রাম্পের ঘোষিত এই ২০টি দফা আমাদের পক্ষ থেকে নয়। এটি আমাদের [মূল খসড়ার] মতো নয়।" তিনি আরও যোগ করেন, "আমি বলছি, আমাদের কাছে যে খসড়া ছিল, তাতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।" এই বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এমন কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভিন্ন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তাঁর এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধ সমাপ্ত করা। এই পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত ছিল যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত বা মৃত সকল বন্দীকে ফিরিয়ে দিতে হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজাকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে একটি নতুন নাম দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে—সেটি হলো "নতুন গাজা" (New Gaza)। তবে, পরিকল্পনার অনেক বিস্তারিত বিষয় আলোচনার জন্য আলোচকদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিশদ তথ্যের অভাব এবং মূল প্রস্তাবে পরিবর্তনের অভিযোগ—উভয়ই পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন এবং মুসলিম বিশ্বের সমর্থন নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
পাকিস্তানের এই স্পষ্ট অবস্থান মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত কণ্ঠস্বর এবং তাদের প্রত্যাশার গুরুত্ব তুলে ধরে। ইসলামাবাদ মনে করছে, চূড়ান্ত পরিকল্পনায় তাদের সম্মিলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রতিফলন ঘটেনি।

আপনার মতামত লিখুন