ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

কুফরি প্রতিষ্ঠা রোধে জামায়াতকে বর্জনের ডাক; নীরব জামায়াত নেতৃত্ব

জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা, আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান হেফাজত আমিরের



জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা, আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান হেফাজত আমিরের

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী আবারও কড়া ভাষায় জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দলটিকে ভোট না দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সমালোচনামূলক অবস্থান ব্যক্ত করেন। ধর্মীয় রক্ষণশীল এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতার এমন সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য দেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখা আয়োজিত 'শানে রেসালত সম্মেলন'-এ প্রধান বক্তা হিসেবে আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "কুফরি যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না।" তিনি জামায়াতের আদর্শ ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, "যারা পূজা আর রোজা একই বলে, এগুলো কি ইসলাম?" তাঁর এই বক্তব্য জামায়াতের বিভিন্ন বিতর্কিত ফতোয়া ও রাজনৈতিক অবস্থানকে ইঙ্গিত করে। হেফাজতে ইসলাম মূলত একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে পরিচিত হলেও, আমিরের এই বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়।

হেফাজত আমির তার বক্তৃতায় ইসলামের মৌলিক আদর্শের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, "নবী ও রাসুলদের দেখানো সোজা রাস্তায় চলতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও আখিরাত ঠিক থাকবে। সাহাবা কেরাম সত্যের মাপকাঠি। তাঁদের দেখানো রাস্তা সোজা রাস্তা।" এর মাধ্যমে তিনি জামায়াতকে সরাসরি নবী-রাসুল ও সাহাবাদের প্রদর্শিত পথ থেকে বিচ্যুত বলে আখ্যায়িত করেন। এই সমালোচনা জামায়াত ও হেফাজতের মধ্যে দীর্ঘদিনের আদর্শিক দূরত্বকে আরও বাড়িয়ে দিল।

সম্মেলনে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের সামনে দেওয়া এই বক্তব্যটি স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিকে, হেফাজত আমিরের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতে ইসলামীর তিনজন দায়িত্বশীল নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের এই নীরবতা বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটির কৌশলগত অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য মোড় সৃষ্টি করতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫


জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা, আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট না দেওয়ার আহ্বান হেফাজত আমিরের

প্রকাশের তারিখ : ০৩ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী আবারও কড়া ভাষায় জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করেছেন। তিনি স্পষ্ট করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই দলটিকে ভোট না দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই সমালোচনামূলক অবস্থান ব্যক্ত করেন। ধর্মীয় রক্ষণশীল এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতার এমন সরাসরি রাজনৈতিক মন্তব্য দেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মধ্যে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখা আয়োজিত 'শানে রেসালত সম্মেলন'-এ প্রধান বক্তা হিসেবে আল্লামা শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, "কুফরি যাতে প্রতিষ্ঠা করতে না পারে, সামনের নির্বাচনে ভোট দেওয়া যাবে না।" তিনি জামায়াতের আদর্শ ও কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে প্রশ্ন তোলেন, "যারা পূজা আর রোজা একই বলে, এগুলো কি ইসলাম?" তাঁর এই বক্তব্য জামায়াতের বিভিন্ন বিতর্কিত ফতোয়া ও রাজনৈতিক অবস্থানকে ইঙ্গিত করে। হেফাজতে ইসলাম মূলত একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে পরিচিত হলেও, আমিরের এই বক্তব্য আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের একটি স্পষ্ট বার্তা দেয়।

হেফাজত আমির তার বক্তৃতায় ইসলামের মৌলিক আদর্শের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, "নবী ও রাসুলদের দেখানো সোজা রাস্তায় চলতে হবে। তাহলে দুনিয়া ও আখিরাত ঠিক থাকবে। সাহাবা কেরাম সত্যের মাপকাঠি। তাঁদের দেখানো রাস্তা সোজা রাস্তা।" এর মাধ্যমে তিনি জামায়াতকে সরাসরি নবী-রাসুল ও সাহাবাদের প্রদর্শিত পথ থেকে বিচ্যুত বলে আখ্যায়িত করেন। এই সমালোচনা জামায়াত ও হেফাজতের মধ্যে দীর্ঘদিনের আদর্শিক দূরত্বকে আরও বাড়িয়ে দিল।

সম্মেলনে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষের সামনে দেওয়া এই বক্তব্যটি স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এদিকে, হেফাজত আমিরের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চট্টগ্রাম নগর জামায়াতে ইসলামীর তিনজন দায়িত্বশীল নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের এই নীরবতা বর্তমান পরিস্থিতিতে দলটির কৌশলগত অবস্থান হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনা আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে দেশের ধর্মীয় রাজনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য মোড় সৃষ্টি করতে পারে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত