ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

ওসমানীনগর খন্দকার বাজারে সিরিজ চুরিতে আতঙ্ক


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

ওসমানীনগর খন্দকার বাজারে সিরিজ চুরিতে আতঙ্ক

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খন্দকার বাজার এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, লাইব্রেরি, বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে চুরি হলেও পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছরের শেষ দিক থেকে খন্দকার বাজার এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট রাতে হুসননমকী মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আলমারি ভেঙে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। এর মধ্যে নগদ ৩৬ হাজার টাকা, রোলেক্স ঘড়ি, স্পিকার, রাউটার ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০–৬০ কেজি গোশতও নিয়ে যায় চোরেরা। একই রাতে হুসননমকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চুরির চেষ্টা হয়।

এর আগে খন্দকার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় চিকিৎসক ডা. সুকুমার সরকারের বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৭০ হাজার টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট হয়। গত ৮ এপ্রিল হুসননমকী জামে মসজিদ থেকে মাইক মেশিন ও বৈদ্যুতিক তারসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়।

১৮ মে রাতে খন্দকার বাজারের আবরার মেডিসিন সেন্টার থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা চুরি হয়। একই রাতে সেবা হেলথ সেন্টার থেকেও কয়েক লাখ টাকার ওষুধ চুরি হয়। ২৮ মে হুসননমকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লকের তালা ভেঙে পানির টেপ ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে চুনারপাড়া দক্ষিণ মসজিদের ইমামের কক্ষে ঢুকে দুটি মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে যায় চোরেরা। খন্দকার বাজারস্থ জননী লাইব্রেরিতেও চুরি সংঘটিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন একজনকে একবার আটক করে পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও মামলায় বাদী না হওয়ার অজুহাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া বলেন, এলাকায় পুলিশি টহল চলছে এবং অপরাধীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

তবে হুসননমকী মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রশীদ আহমদ অভিযোগ করেন, প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অন্যদিকে স্থানীয়রা মনে করছেন, শুধু টহল যথেষ্ট নয়। চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা পুনঃস্থাপন, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।

বিষয় : অপরাধ সিলেট আইন-শৃঙ্খলা

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫


ওসমানীনগর খন্দকার বাজারে সিরিজ চুরিতে আতঙ্ক

প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী খন্দকার বাজার এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটছে। মসজিদ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়, লাইব্রেরি, বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে চুরি হলেও পুলিশ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত বছরের শেষ দিক থেকে খন্দকার বাজার এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ গত ১০ আগস্ট রাতে হুসননমকী মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আলমারি ভেঙে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়। এর মধ্যে নগদ ৩৬ হাজার টাকা, রোলেক্স ঘড়ি, স্পিকার, রাউটার ও এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০–৬০ কেজি গোশতও নিয়ে যায় চোরেরা। একই রাতে হুসননমকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েও চুরির চেষ্টা হয়।

এর আগে খন্দকার বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও স্থানীয় চিকিৎসক ডা. সুকুমার সরকারের বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৭০ হাজার টাকা ও মূল্যবান সামগ্রী লুট হয়। গত ৮ এপ্রিল হুসননমকী জামে মসজিদ থেকে মাইক মেশিন ও বৈদ্যুতিক তারসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়।

১৮ মে রাতে খন্দকার বাজারের আবরার মেডিসিন সেন্টার থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা চুরি হয়। একই রাতে সেবা হেলথ সেন্টার থেকেও কয়েক লাখ টাকার ওষুধ চুরি হয়। ২৮ মে হুসননমকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশব্লকের তালা ভেঙে পানির টেপ ও অন্যান্য সামগ্রী চুরি হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে চুনারপাড়া দক্ষিণ মসজিদের ইমামের কক্ষে ঢুকে দুটি মোবাইল ফোন ও ব্যক্তিগত জিনিস নিয়ে যায় চোরেরা। খন্দকার বাজারস্থ জননী লাইব্রেরিতেও চুরি সংঘটিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সন্দেহভাজন একজনকে একবার আটক করে পুলিশের কাছে দেওয়া হলেও মামলায় বাদী না হওয়ার অজুহাতে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনায়েম মিয়া বলেন, এলাকায় পুলিশি টহল চলছে এবং অপরাধীদের ধরতে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

তবে হুসননমকী মোহাম্মদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা রশীদ আহমদ অভিযোগ করেন, প্রতিটি ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অন্যদিকে স্থানীয়রা মনে করছেন, শুধু টহল যথেষ্ট নয়। চুরি রোধে সিসি ক্যামেরা পুনঃস্থাপন, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত