ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

তিন ডিভিশন সেনা মোতায়েন রেখেই গাজা সিটিতে অভিযান বন্ধ, হামাস জিম্মি মুক্তির প্রস্তুতি শুরু করতে পারে

গাজায় সামরিক আগ্রাসন স্থগিত: বন্দি মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে সাময়িক বিরতি নাকি কৌশলগত অবস্থান?


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

গাজায় সামরিক আগ্রাসন স্থগিত: বন্দি মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে সাময়িক বিরতি নাকি কৌশলগত অবস্থান?

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওর বরাতে জানা গেছে, গাজা সিটিতে যুদ্ধরত তিনটি ডিভিশনের অগ্রগতি আপাতত থেমে গেছে। তারা সামনে না এগোনো বা পেছনে না সরে বর্তমান অবস্থানেই স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছে। চিফ অফ স্টাফের নির্দেশে এই সাময়িক বিরতি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, সামরিক অভিযান স্থগিতের উদ্দেশ্য হলো হামাসকে জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তুতি শুরু করার সুযোগ দেওয়া। এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিরতি না হলেও এটি কৌশলগত এবং পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তনশীল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর রেডিওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালানোর জন্য নিযুক্ত তিনটি সামরিক ডিভিশন বর্তমানে তাদের অবস্থানেই থেমে আছে। ইসরায়েলি চিফ অফ স্টাফের স্পষ্ট নির্দেশনায় সেনারা আপাতত কোনো সম্মুখ অগ্রগতি বা পশ্চাদপসরণ করছে না। তারা গাজা সিটির যে অংশগুলো ইতিমধ্যে দখল করেছে, সেই 'লাইন' বরাবর অবস্থান ধরে রেখেছে।

কৌশলগত বিরতি ও জিম্মি মুক্তির জল্পনা

ইসরায়েলি দৈনিক 'ইসরায়েল হায়োম' একটি ইসরায়েলি রাজনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় সামরিক আক্রমণাত্মক অভিযান স্থগিত করার মূল লক্ষ্য হলো হামাসকে জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তুতি শুরুর সুযোগ দেওয়া। ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে যে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি নয়, যা হামাসকে তিন দিনের মধ্যে জিম্মি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করবে। এছাড়া, এটি প্রত্যাহারের শুরুও নয়, তবে সেনাদের সুরক্ষার জন্য কৌশলগত কিছু উন্নতি আনা হতে পারে।

সূত্রটি আরও উল্লেখ করেছে, তারা ক্রমাগত মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সুযোগ নিয়ে শেষ মুহূর্তে হামলা চালানোর বা মাটিতে তাদের দখল জোরদার করার সুযোগ দেবে না।

নজরদারি বৃদ্ধি ও আক্রমণ নীতি

সামরিক রেডিও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভূমিতে থাকা সৈন্যদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। তারা হামাসের যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় অতিরিক্ত এয়ার রিকনেসান্স এয়ারক্রাফট, পর্যবেক্ষণ যান ও তথ্য সংগ্রহের দল মোতায়েন করেছে।

সেনাবাহিনীর ফায়ারিং পলিসির বিষয়ে রেডিও জোর দিয়ে বলেছে: কোনো পূর্ব-পরিকল্পিত আক্রমণ করা হবে না। তবে, সৈন্যদের জন্য যেকোনো বিপত্তি দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো আক্রমণ চালানো হবে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় রিপোর্ট করা আক্রমণগুলো আমাদের বাহিনীর জন্য হুমকি দূর করার পাশাপাশি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের উত্তর দিকে গাজা সিটিতে ফিরে না যাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রেডিও দাবি করেছে।

ভবিষ্যৎ আলোচনার ইঙ্গিত

ওই রাজনৈতিক সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, আগামীকাল (অর্থাৎ রবিবার) থেকে যে আলোচনা শুরু হবে, তা শুরুতেই স্পষ্ট করে দেবে যে হামাস আবার সময় নষ্ট করছে, নাকি তারা 'ট্রাম্প প্ল্যান' গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই তা বুঝতে পেরেছে। এই মন্তব্যটি সম্ভবত জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাবনার প্রতি ইঙ্গিত করছে।

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫


গাজায় সামরিক আগ্রাসন স্থগিত: বন্দি মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে সাময়িক বিরতি নাকি কৌশলগত অবস্থান?

প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিওর বরাতে জানা গেছে, গাজা সিটিতে যুদ্ধরত তিনটি ডিভিশনের অগ্রগতি আপাতত থেমে গেছে। তারা সামনে না এগোনো বা পেছনে না সরে বর্তমান অবস্থানেই স্থিতাবস্থা বজায় রেখেছে। চিফ অফ স্টাফের নির্দেশে এই সাময়িক বিরতি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি রাজনৈতিক সূত্রের দাবি, সামরিক অভিযান স্থগিতের উদ্দেশ্য হলো হামাসকে জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তুতি শুরু করার সুযোগ দেওয়া। এই পদক্ষেপ যুদ্ধবিরতি না হলেও এটি কৌশলগত এবং পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তনশীল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর রেডিওর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাজা সিটিতে আগ্রাসন চালানোর জন্য নিযুক্ত তিনটি সামরিক ডিভিশন বর্তমানে তাদের অবস্থানেই থেমে আছে। ইসরায়েলি চিফ অফ স্টাফের স্পষ্ট নির্দেশনায় সেনারা আপাতত কোনো সম্মুখ অগ্রগতি বা পশ্চাদপসরণ করছে না। তারা গাজা সিটির যে অংশগুলো ইতিমধ্যে দখল করেছে, সেই 'লাইন' বরাবর অবস্থান ধরে রেখেছে।

কৌশলগত বিরতি ও জিম্মি মুক্তির জল্পনা

ইসরায়েলি দৈনিক 'ইসরায়েল হায়োম' একটি ইসরায়েলি রাজনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, গাজা উপত্যকায় সামরিক আক্রমণাত্মক অভিযান স্থগিত করার মূল লক্ষ্য হলো হামাসকে জিম্মিদের মুক্তির প্রস্তুতি শুরুর সুযোগ দেওয়া। ওই সূত্রটি নিশ্চিত করেছে যে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি নয়, যা হামাসকে তিন দিনের মধ্যে জিম্মি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করবে। এছাড়া, এটি প্রত্যাহারের শুরুও নয়, তবে সেনাদের সুরক্ষার জন্য কৌশলগত কিছু উন্নতি আনা হতে পারে।

সূত্রটি আরও উল্লেখ করেছে, তারা ক্রমাগত মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে সুযোগ নিয়ে শেষ মুহূর্তে হামলা চালানোর বা মাটিতে তাদের দখল জোরদার করার সুযোগ দেবে না।

নজরদারি বৃদ্ধি ও আক্রমণ নীতি

সামরিক রেডিও জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ভূমিতে থাকা সৈন্যদের সুরক্ষার জন্য তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। তারা হামাসের যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় অতিরিক্ত এয়ার রিকনেসান্স এয়ারক্রাফট, পর্যবেক্ষণ যান ও তথ্য সংগ্রহের দল মোতায়েন করেছে।

সেনাবাহিনীর ফায়ারিং পলিসির বিষয়ে রেডিও জোর দিয়ে বলেছে: কোনো পূর্ব-পরিকল্পিত আক্রমণ করা হবে না। তবে, সৈন্যদের জন্য যেকোনো বিপত্তি দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো আক্রমণ চালানো হবে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় রিপোর্ট করা আক্রমণগুলো আমাদের বাহিনীর জন্য হুমকি দূর করার পাশাপাশি গাজার বেসামরিক নাগরিকদের উত্তর দিকে গাজা সিটিতে ফিরে না যাওয়ার সতর্কবার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রেডিও দাবি করেছে।

ভবিষ্যৎ আলোচনার ইঙ্গিত

ওই রাজনৈতিক সূত্রটি আরও যোগ করেছে যে, আগামীকাল (অর্থাৎ রবিবার) থেকে যে আলোচনা শুরু হবে, তা শুরুতেই স্পষ্ট করে দেবে যে হামাস আবার সময় নষ্ট করছে, নাকি তারা 'ট্রাম্প প্ল্যান' গ্রহণ করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই তা বুঝতে পেরেছে। এই মন্তব্যটি সম্ভবত জিম্মি মুক্তি সংক্রান্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রস্তাবনার প্রতি ইঙ্গিত করছে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত