
খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা ১৪৪ ধারা আট দিন পর প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে পৌরসভা, সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় আর ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে না। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এসব এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আদেশ জারি করা হয়েছিল।
প্রশাসনের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকেও আর ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখার প্রয়োজন নেই বলে মতামত দেওয়া হয়েছে। তাই পূর্বের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়। সেই অবরোধকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বহু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর ২টা থেকে পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এবং বিকেল ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
গুইমারায় পরদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ সমাবেশে সংঘর্ষ হলে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন একজন সেনা মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য এবং বহু পাহাড়ি ও বাঙালি নাগরিক।
তবে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় পরবর্তী মেডিকেল রিপোর্টে কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের দাবি, ইউপিডিএফ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করেছিল। সেনাবাহিনীও এক বিবৃতিতে এ সহিংসতার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে।
প্রশাসন মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বিষয় : রাজনীতি আইনশৃঙ্খলা খাগড়াছড়ি সহিংসতা
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় জারি করা ১৪৪ ধারা আট দিন পর প্রত্যাহার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘোষণা দেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার (৫ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে পৌরসভা, সদর উপজেলা এবং গুইমারা উপজেলায় আর ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে না। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় এসব এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য এ আদেশ জারি করা হয়েছিল।
প্রশাসনের ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক। নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকেও আর ১৪৪ ধারা বলবৎ রাখার প্রয়োজন নেই বলে মতামত দেওয়া হয়েছে। তাই পূর্বের আদেশ প্রত্যাহার করা হলো।”
উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’ ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ডাকা হয়। সেই অবরোধকে কেন্দ্র করে পাহাড়ের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। বহু বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং এলাকায় ব্যাপক ভাঙচুর চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর ২টা থেকে পৌরসভা ও সদর উপজেলায় এবং বিকেল ৩টা থেকে গুইমারা উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
গুইমারায় পরদিন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ সমাবেশে সংঘর্ষ হলে রক্তক্ষয়ী ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। আহত হন একজন সেনা মেজরসহ ১৩ সেনা সদস্য এবং বহু পাহাড়ি ও বাঙালি নাগরিক।
তবে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় পরবর্তী মেডিকেল রিপোর্টে কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের দাবি, ইউপিডিএফ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করেছিল। সেনাবাহিনীও এক বিবৃতিতে এ সহিংসতার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে।
প্রশাসন মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফলে স্বাভাবিক জনজীবন ফিরিয়ে আনতে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন