ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

, নির্বাচন, সহিংসতা, আইনশৃঙ্খলা

হাসিনার আমলেও এমন হামলার শিকার হইনি: নুরের অভিযোগ


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

হাসিনার আমলেও এমন হামলার শিকার হইনি: নুরের অভিযোগ

চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হননি। ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরে সংঘর্ষকালে তার ওপর চালানো আক্রমণকে তিনি পরিকল্পিত ‘টার্গেট অপারেশন’ আখ্যা দেন। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ঘটনার দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনামলে আমরা আন্দোলন করেছি, গদি চ্যালেঞ্জ করেছি। তখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা এ রকম হামলার শিকার হইনি। এবার যে হামলা হয়েছে, এটা একেবারেই পরিকল্পিত টার্গেট অপারেশন।”

তিনি অভিযোগ করেন, হামলার মাধ্যমে শুধু তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি, বরং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারী নেতাদের জন্যও এটি এক ধরনের হুমকির বার্তা ছিল। নুর বলেন, “যদি দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে অন্যদেরও একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।”

নুর আরও বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পড়ানো হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। যদি আমাদের ওপর হামলার বিচার না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে।”

তিনি বর্তমান তদন্ত প্রক্রিয়াকে ‘গড়িমসি’ বলে অভিহিত করেন। “৩৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কমিশনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে তদন্ত হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না,” বলেন নুর।

গণঅধিকার পরিষদ সভাপতির দাবি, তারা সরকারকে সহযোগিতা করছে, তবে সরকারের সুবিধাভোগী বা অংশীদার নয়। নুর সতর্ক করেন, “নির্বাচন নিয়ে বিভাজন, পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা এবং দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনও সঙ্কটে পড়বে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একটি দলের প্রধানকে যদি এভাবে আক্রমণ করা হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে সম্ভব?” নুর আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সমঝোতাপূর্ণ নির্বাচনে যাদের ইঙ্গিত দেওয়া হবে, তারা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারবে, আর যাদের ‘সিগন্যাল’ দেওয়া হবে না, তারা হামলার শিকার হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিজের ওপর হামলার তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করাকে তিনি প্রধান পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। নুর বলেন, “অন্যথায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের সংশয় থেকেই যাবে।”

গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে এবং নাকের হাড় ভেঙে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।

বিষয় : রাজনীতি নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা সহিংসতা গণঅধিকার পরিষদ

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫


হাসিনার আমলেও এমন হামলার শিকার হইনি: নুরের অভিযোগ

প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন বর্বরোচিত হামলার শিকার হননি। ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগরে সংঘর্ষকালে তার ওপর চালানো আক্রমণকে তিনি পরিকল্পিত ‘টার্গেট অপারেশন’ আখ্যা দেন। দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ঘটনার দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

শনিবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার শাসনামলে আমরা আন্দোলন করেছি, গদি চ্যালেঞ্জ করেছি। তখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা এ রকম হামলার শিকার হইনি। এবার যে হামলা হয়েছে, এটা একেবারেই পরিকল্পিত টার্গেট অপারেশন।”

তিনি অভিযোগ করেন, হামলার মাধ্যমে শুধু তাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি, বরং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারী নেতাদের জন্যও এটি এক ধরনের হুমকির বার্তা ছিল। নুর বলেন, “যদি দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা না হয়, তাহলে অন্যদেরও একই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হবে।”

নুর আরও বলেন, “বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত নির্বাচন হয়েছে, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জুতার মালা পড়ানো হয়েছে, সাবেক প্রধান বিচারপতি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। যদি আমাদের ওপর হামলার বিচার না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তাদেরও জবাবদিহি করতে হবে।”

তিনি বর্তমান তদন্ত প্রক্রিয়াকে ‘গড়িমসি’ বলে অভিহিত করেন। “৩৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্ত কমিশনের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে তদন্ত হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না,” বলেন নুর।

গণঅধিকার পরিষদ সভাপতির দাবি, তারা সরকারকে সহযোগিতা করছে, তবে সরকারের সুবিধাভোগী বা অংশীদার নয়। নুর সতর্ক করেন, “নির্বাচন নিয়ে বিভাজন, পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা এবং দেশে চলমান বিশৃঙ্খলা যদি নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচনও সঙ্কটে পড়বে।”

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “একটি দলের প্রধানকে যদি এভাবে আক্রমণ করা হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে সম্ভব?” নুর আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সমঝোতাপূর্ণ নির্বাচনে যাদের ইঙ্গিত দেওয়া হবে, তারা নির্বিঘ্নে প্রচারণা চালাতে পারবে, আর যাদের ‘সিগন্যাল’ দেওয়া হবে না, তারা হামলার শিকার হবে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিজের ওপর হামলার তদন্ত ও দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করাকে তিনি প্রধান পূর্বশর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। নুর বলেন, “অন্যথায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বড় ধরনের সংশয় থেকেই যাবে।”

গত ২৯ আগস্ট রাতে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণঅধিকার পরিষদের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। এতে তার মাথায় আঘাত লাগে এবং নাকের হাড় ভেঙে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত