
কুষ্টিয়ায় জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আগামী ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কুষ্টিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের চার শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করে আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, বি এম সুলতান মাহমুদ, ব্যারিস্টার মঈনুল করিম ও সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।
গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে তিনটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে— উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ এবং কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মামলার চারজন আসামিই বর্তমানে পলাতক।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশে বলা হয়, তদন্তে পাওয়া তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ অভিযোগের প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করেছে।
এই মামলা বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক বিচার প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এতে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হলো।
আদালত আগামী শুনানিতে অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি মামলার বিচার শুরু করার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫
কুষ্টিয়ায় জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আগামী ১৪ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কুষ্টিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও ছয়জনকে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের চার শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তার করে আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, বি এম সুলতান মাহমুদ, ব্যারিস্টার মঈনুল করিম ও সহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।
গতকাল রোববার (৫ অক্টোবর) প্রসিকিউশন আনুষ্ঠানিকভাবে মাহবুবউল আলম হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে তিনটি নির্দিষ্ট অভিযোগ আনা হয়েছে— উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণ এবং কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা।
মামলার অন্য তিন আসামি হলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, মামলার চারজন আসামিই বর্তমানে পলাতক।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের নির্দেশ দেয়। আদালতের আদেশে বলা হয়, তদন্তে পাওয়া তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ অভিযোগের প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করেছে।
এই মামলা বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধবিষয়ক বিচার প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে, কারণ এতে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ পর্যায়ের একজন নেতার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়া হলো।
আদালত আগামী শুনানিতে অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ের পাশাপাশি মামলার বিচার শুরু করার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করবে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন