
রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের কম্পিউটার দোকানগুলোতে প্রতিদিন শত শত সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা দাবি করছেন এগুলো ফ্রেশ দুবাই থেকে আনা, কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকে ওয়াশ বা রিপেয়ার করা ইউনিট, যা কয়েকদিন ব্যবহারেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওয়াশ বা রিপেয়ার করা ল্যাপটপের সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়া, অতিরিক্ত গরম হওয়া, স্ক্রিনে দাগ, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া। তবে কিছু সহজ পরীক্ষা করে ক্রেতারা যাচাই করতে পারেন ল্যাপটপটি সত্যিই নতুন কি না।
কীভাবে চিহ্নিত করবেন:
স্ক্রু ও কভার পরীক্ষা করুন: নিচের স্ক্রু ঢিলে বা আঁচড়যুক্ত থাকলে ল্যাপটপ খোলা হয়েছে বোঝা যায়।
পোর্ট ও কানেক্টর দেখুন: USB, HDMI বা চার্জিং পোর্টে দাগ বা মরচে থাকলে পানি লাগার ইঙ্গিত।
সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে দেখুন: BIOS বা সিস্টেম ইনফোতে নম্বর মেলানো হচ্ছে কি না যাচাই করুন।
ব্যাটারি হেলথ চেক করুন: Windows-এ powercfg /batteryreport
চালিয়ে দেখুন। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি মূলের সঙ্গে বেশি ভিন্ন হলে পরিবর্তিত।
স্ক্রিন পরীক্ষা করুন: কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে লাইট লিক বা ডেড পিক্সেল আছে কি না দেখুন।
ফ্যান ও হিটিং টেস্ট করুন: ১০-১৫ মিনিট ভিডিও চালিয়ে বা ফাইল কপি করে গরম হওয়া বা ফ্যানের শব্দ যাচাই করুন।
সফটওয়্যার ও BIOS পরীক্ষা করুন: BIOS-এর ভার্সন বা লোগো পরিবর্তিত হলে মাদারবোর্ড রিপেয়ার হয়েছে বোঝা যাবে।
সতর্কবার্তা:
ওয়াশ বা রিপেয়ার করা ল্যাপটপে সাধারণত কোনো অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি থাকে না। সার্কিট বা ব্যাটারি পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।
ভোক্তা করণীয়:
পরিচিত দোকান বা অফিশিয়াল রিসেলার থেকে কিনুন।
ইনভয়েস ও রিটার্ন পলিসি লিখিতভাবে নিন।
কেনার আগে ১৫-২০ মিনিট ব্যবহার করে পরীক্ষা করুন।
BIOS সিরিয়াল, ব্যাটারি রিপোর্ট ও পোর্ট পরীক্ষা করুন।
দুবাই থেকে ফ্রেশ বলে বিক্রি হওয়া সব ল্যাপটপই ফ্রেশ নয়; চকচকে কেসের ভেতরে লুকিয়ে থাকে পুরোনো বা ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডওয়্যার। তাই দাম বা চেহারা দেখে নয়, যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন, যাতে ভুল ক্রয় ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির কারণ না হয়।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫
রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের কম্পিউটার দোকানগুলোতে প্রতিদিন শত শত সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা দাবি করছেন এগুলো ফ্রেশ দুবাই থেকে আনা, কিন্তু বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকে ওয়াশ বা রিপেয়ার করা ইউনিট, যা কয়েকদিন ব্যবহারেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ওয়াশ বা রিপেয়ার করা ল্যাপটপের সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়া, অতিরিক্ত গরম হওয়া, স্ক্রিনে দাগ, হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া। তবে কিছু সহজ পরীক্ষা করে ক্রেতারা যাচাই করতে পারেন ল্যাপটপটি সত্যিই নতুন কি না।
কীভাবে চিহ্নিত করবেন:
স্ক্রু ও কভার পরীক্ষা করুন: নিচের স্ক্রু ঢিলে বা আঁচড়যুক্ত থাকলে ল্যাপটপ খোলা হয়েছে বোঝা যায়।
পোর্ট ও কানেক্টর দেখুন: USB, HDMI বা চার্জিং পোর্টে দাগ বা মরচে থাকলে পানি লাগার ইঙ্গিত।
সিরিয়াল নম্বর মিলিয়ে দেখুন: BIOS বা সিস্টেম ইনফোতে নম্বর মেলানো হচ্ছে কি না যাচাই করুন।
ব্যাটারি হেলথ চেক করুন: Windows-এ powercfg /batteryreport
চালিয়ে দেখুন। ব্যাটারি ক্যাপাসিটি মূলের সঙ্গে বেশি ভিন্ন হলে পরিবর্তিত।
স্ক্রিন পরীক্ষা করুন: কালো ব্যাকগ্রাউন্ডে লাইট লিক বা ডেড পিক্সেল আছে কি না দেখুন।
ফ্যান ও হিটিং টেস্ট করুন: ১০-১৫ মিনিট ভিডিও চালিয়ে বা ফাইল কপি করে গরম হওয়া বা ফ্যানের শব্দ যাচাই করুন।
সফটওয়্যার ও BIOS পরীক্ষা করুন: BIOS-এর ভার্সন বা লোগো পরিবর্তিত হলে মাদারবোর্ড রিপেয়ার হয়েছে বোঝা যাবে।
সতর্কবার্তা:
ওয়াশ বা রিপেয়ার করা ল্যাপটপে সাধারণত কোনো অফিশিয়াল ওয়ারেন্টি থাকে না। সার্কিট বা ব্যাটারি পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ।
ভোক্তা করণীয়:
পরিচিত দোকান বা অফিশিয়াল রিসেলার থেকে কিনুন।
ইনভয়েস ও রিটার্ন পলিসি লিখিতভাবে নিন।
কেনার আগে ১৫-২০ মিনিট ব্যবহার করে পরীক্ষা করুন।
BIOS সিরিয়াল, ব্যাটারি রিপোর্ট ও পোর্ট পরীক্ষা করুন।
দুবাই থেকে ফ্রেশ বলে বিক্রি হওয়া সব ল্যাপটপই ফ্রেশ নয়; চকচকে কেসের ভেতরে লুকিয়ে থাকে পুরোনো বা ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডওয়্যার। তাই দাম বা চেহারা দেখে নয়, যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন, যাতে ভুল ক্রয় ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির কারণ না হয়।
আপনার মতামত লিখুন