
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। বুধবার এশিয়ার বাজারে এই নতুন রেকর্ড গড়ে মূল্যবান ধাতুটি, যা বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি অচলাবস্থা ও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণ কেনার আগ্রহ বাড়ায় এই উল্লম্ফন ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বুধবার সকালে স্বর্ণের দাম পৌঁছায় আউন্সপ্রতি ৪,০০৬.৬৮ মার্কিন ডলারে, যা এ পর্যন্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নীতির অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে তারা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা, চলমান সরকারি অচলাবস্থা এবং শেয়ারবাজারের অতিমূল্যায়ন বিনিয়োগকারীদের বিকল্প নিরাপদ সম্পদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, মার্কিন শেয়ারবাজারের নির্দিষ্ট খাত যেকোনো সময় বড় ধসের মুখে পড়তে পারে।
বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধি। একই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত বাণিজ্যনীতি, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক চাপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাজারে অনিশ্চয়তার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
এই সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতাও স্বর্ণবাজারে প্রভাব ফেলেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় রাজনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ‘রিস্ক এভারশন’ প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলেই স্বর্ণের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এদিকে, আরেক মূল্যবান ধাতু রূপা (Silver)-ও রেকর্ড দর ছোঁয়ার পথে রয়েছে। বর্তমানে এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামের মাত্র কয়েক ডলার নিচে অবস্থান করছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝোঁক এবং মূলধন পুনর্বিন্যাসের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।
স্বর্ণ দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের অন্যতম “নিরাপদ আশ্রয়” হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা আবারও সেই ঐতিহ্যকে দৃঢ় করেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। বুধবার এশিয়ার বাজারে এই নতুন রেকর্ড গড়ে মূল্যবান ধাতুটি, যা বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান সরকারি অচলাবস্থা ও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে কেন্দ্র করে বিনিয়োগকারীদের স্বর্ণ কেনার আগ্রহ বাড়ায় এই উল্লম্ফন ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বুধবার সকালে স্বর্ণের দাম পৌঁছায় আউন্সপ্রতি ৪,০০৬.৬৮ মার্কিন ডলারে, যা এ পর্যন্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক নীতির অস্থিতিশীলতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ফলে তারা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা, চলমান সরকারি অচলাবস্থা এবং শেয়ারবাজারের অতিমূল্যায়ন বিনিয়োগকারীদের বিকল্প নিরাপদ সম্পদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, মার্কিন শেয়ারবাজারের নির্দিষ্ট খাত যেকোনো সময় বড় ধসের মুখে পড়তে পারে।
বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশেরও বেশি, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম দ্রুত বৃদ্ধি। একই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত বাণিজ্যনীতি, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক চাপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাজারে অনিশ্চয়তার মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
এই সপ্তাহে ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতাও স্বর্ণবাজারে প্রভাব ফেলেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন, আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউরোপীয় রাজনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ‘রিস্ক এভারশন’ প্রবণতা বাড়িয়েছে, যার ফলেই স্বর্ণের দাম নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এদিকে, আরেক মূল্যবান ধাতু রূপা (Silver)-ও রেকর্ড দর ছোঁয়ার পথে রয়েছে। বর্তমানে এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামের মাত্র কয়েক ডলার নিচে অবস্থান করছে। বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রবণতা বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝোঁক এবং মূলধন পুনর্বিন্যাসের স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করে।
স্বর্ণ দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের অন্যতম “নিরাপদ আশ্রয়” হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা আবারও সেই ঐতিহ্যকে দৃঢ় করেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।
আপনার মতামত লিখুন