ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

ইসকনবিরোধী বক্তব্যের পর নিখোঁজ, সারাদেশে উদ্বেগ

নিখোঁজের একদিন পরই পঞ্চগড়ে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

নিখোঁজের একদিন পরই পঞ্চগড়ে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ

গাজীপুরের টঙ্গীর বিটিসিএল জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর তাঁকে পঞ্চগড় থেকে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ইসকন সংগঠন সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ায় একাধিক হুমকি পাওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে তাঁর পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড় শহরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় মুফতি মুহিব্বুল্লাহকে একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে দ্রুত পঞ্চগড় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত অবস্থায় তাঁর জ্ঞান ছিল না এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। জ্ঞান ফেরা সাপেক্ষে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।

মুফতি মুহিব্বুল্লাহর বড় ছেলে মাওলানা আব্দুল্লাহ তাঁর বাবার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাঁর ছোট ভাইকে ফোন করে খবরটি জানান।

এর আগে, বুধবার সকাল থেকে মুফতি মুহিব্বুল্লাহর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। টঙ্গী টিএন্ডটি এলাকার স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের একটি খুতবায় তিনি ইসকন সংগঠন সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ার পর থেকেই একাধিক হুমকি চিঠি পেতে শুরু করেন। সর্বশেষ বুধবার সকাল থেকে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে, টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাঁরা মুফতি মুহিব্বুল্লাহর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন যে তিনি পঞ্চগড়ে উদ্ধার হয়েছেন। ওসি আরও জানান, অপহরণ ও উদ্ধারের এই পুরো ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্তাধীন রয়েছে। এই ঘটনা কেন ঘটল, এর পেছনে কারা আছে এবং তাঁকে কীভাবে গাজীপুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড়ে নিয়ে যাওয়া হলো—তা নিয়ে জোর অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকেই গাজীপুরের টঙ্গী এলাকাসহ সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মুফতি মুহিব্বুল্লাহর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন এবং ঘটনার নেপথ্যের কারণ উদঘাটন করে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫


নিখোঁজের একদিন পরই পঞ্চগড়ে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ

প্রকাশের তারিখ : ২৩ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

গাজীপুরের টঙ্গীর বিটিসিএল জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মুহিব্বুল্লাহ মাদানী নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর তাঁকে পঞ্চগড় থেকে শিকলবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ইসকন সংগঠন সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ায় একাধিক হুমকি পাওয়ার পরই তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে তাঁর পরিবার ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে পঞ্চগড় শহরের হেলিপ্যাড বাজার এলাকায় মুফতি মুহিব্বুল্লাহকে একটি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে দ্রুত পঞ্চগড় থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত অবস্থায় তাঁর জ্ঞান ছিল না এবং তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। জ্ঞান ফেরা সাপেক্ষে তাঁর শারীরিক অবস্থা ও ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।

মুফতি মুহিব্বুল্লাহর বড় ছেলে মাওলানা আব্দুল্লাহ তাঁর বাবার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পঞ্চগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাঁর ছোট ভাইকে ফোন করে খবরটি জানান।

এর আগে, বুধবার সকাল থেকে মুফতি মুহিব্বুল্লাহর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। টঙ্গী টিএন্ডটি এলাকার স্থানীয়রা জানান, জুমার নামাজের একটি খুতবায় তিনি ইসকন সংগঠন সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়ার পর থেকেই একাধিক হুমকি চিঠি পেতে শুরু করেন। সর্বশেষ বুধবার সকাল থেকে তাঁর সঙ্গে পরিবারের সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে, টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিখোঁজের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তাঁরা মুফতি মুহিব্বুল্লাহর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন যে তিনি পঞ্চগড়ে উদ্ধার হয়েছেন। ওসি আরও জানান, অপহরণ ও উদ্ধারের এই পুরো ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্তাধীন রয়েছে। এই ঘটনা কেন ঘটল, এর পেছনে কারা আছে এবং তাঁকে কীভাবে গাজীপুর থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পঞ্চগড়ে নিয়ে যাওয়া হলো—তা নিয়ে জোর অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকেই গাজীপুরের টঙ্গী এলাকাসহ সারাদেশে ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা মুফতি মুহিব্বুল্লাহর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছেন এবং ঘটনার নেপথ্যের কারণ উদঘাটন করে অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত