বন্যা, সংঘাত, অর্থনৈতিক মন্দা ও দারিদ্র্যের ঘূর্ণাবর্তে নিমজ্জিত দক্ষিণ সুদান এখন সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক সংকটে। জাতিসংঘের হিসাবে দেশটির ১ কোটি ৩৪ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ—অর্থাৎ ৯৩ লাখ মানুষ—জীবনরক্ষাকারী সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ সুদানে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ ও নীল নদের প্লাবনে দেশটির ছয়টি অঙ্গরাজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (OCHA)-এর তথ্যমতে, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে—এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি শুধু জংগলে ও ইউনিটি প্রদেশে।
বন্যায় অন্তত ১৪৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার বাইরে রয়েছে। ইউনিটি প্রদেশের লির জেলায় একাই ৬৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও ২৩ হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১০০ শতাংশ এবং ৯২ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পতন জনগণের জীবনকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তার মতে, সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সংঘাত বন্ধ করা, সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খোঁজা ও জনগণের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সংকটে সরকার ও জনগণের পাশে রয়েছে।
তিনি জানান, বন্যায় বহু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। “শিক্ষা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিবর্তনের চাবিকাঠি। তাই সংঘাত বন্ধ ও শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ইতিমধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সহায়তা ও কলেরা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবুও সীমিত সম্পদ ও দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটে বিপুল জনগোষ্ঠী এখনো সহায়তার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।
বিষয় : সুদান

মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৫ অক্টোবর ২০২৫
বন্যা, সংঘাত, অর্থনৈতিক মন্দা ও দারিদ্র্যের ঘূর্ণাবর্তে নিমজ্জিত দক্ষিণ সুদান এখন সাম্প্রতিক ইতিহাসের ভয়াবহতম মানবিক সংকটে। জাতিসংঘের হিসাবে দেশটির ১ কোটি ৩৪ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৭০ শতাংশ—অর্থাৎ ৯৩ লাখ মানুষ—জীবনরক্ষাকারী সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ সুদানে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণ ও নীল নদের প্লাবনে দেশটির ছয়টি অঙ্গরাজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘ মানবিক সহায়তা সমন্বয় দপ্তর (OCHA)-এর তথ্যমতে, ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে—এর মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি শুধু জংগলে ও ইউনিটি প্রদেশে।
বন্যায় অন্তত ১৪৩টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪৪টি সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি স্বাস্থ্যসেবার বাইরে রয়েছে। ইউনিটি প্রদেশের লির জেলায় একাই ৬৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত ও ২৩ হাজার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ১০০ শতাংশ এবং ৯২ শতাংশ জনগণ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। সংঘাত, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অর্থনৈতিক পতন জনগণের জীবনকে চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
জাতিসংঘ কর্মকর্তার মতে, সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সংঘাত বন্ধ করা, সংলাপের মাধ্যমে সমাধান খোঁজা ও জনগণের মৌলিক সেবা নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ সংকটে সরকার ও জনগণের পাশে রয়েছে।
তিনি জানান, বন্যায় বহু স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। “শিক্ষা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের পরিবর্তনের চাবিকাঠি। তাই সংঘাত বন্ধ ও শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ইতিমধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা সহায়তা ও কলেরা নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবুও সীমিত সম্পদ ও দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটে বিপুল জনগোষ্ঠী এখনো সহায়তার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন