ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করে দারিদ্র্য হ্রাস ও মানবিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, দেশের দুস্থ, এতিম, প্রতিবন্ধী, নারী, কিশোর-কিশোরী ও প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ধারাবাহিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা প্রদানসহ এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্রান্ট ও শিক্ষা উপবৃত্তি দিচ্ছে। এছাড়া, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, চা-শ্রমিকদের উন্নয়ন কর্মসূচি, এবং মারাত্মক রোগীদের (যেমন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগ) আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সামাজিক সেবার পরিধি বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।” তিনি সমাজের বিত্তবানদের এসব কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম, বিভাগীয় সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের মহাসচিব হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম জেলার নিবন্ধিত ১৮১ সংস্থাকে মোট ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ৪১ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক ও ১০২ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ৪৫ লাখ টাকার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যেও সনদ বিতরণ করা হয়।

রোববার, ০২ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সরকার সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য সুরক্ষা বলয় তৈরি করে দারিদ্র্য হ্রাস ও মানবিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে সমাজসেবা অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, দেশের দুস্থ, এতিম, প্রতিবন্ধী, নারী, কিশোর-কিশোরী ও প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ধারাবাহিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা প্রদানসহ এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ক্যাপিটেশন গ্রান্ট ও শিক্ষা উপবৃত্তি দিচ্ছে। এছাড়া, হিজড়া, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, চা-শ্রমিকদের উন্নয়ন কর্মসূচি, এবং মারাত্মক রোগীদের (যেমন ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক, থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হৃদরোগ) আর্থিক সহায়তাসহ নানা উদ্যোগ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সামাজিক সেবার পরিধি বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।” তিনি সমাজের বিত্তবানদের এসব কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম, বিভাগীয় সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের মহাসচিব হাফেজ মোহাম্মদ আমান উল্লাহ এবং চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোরশেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ২০২৪–২০২৫ অর্থবছরের জন্য চট্টগ্রাম জেলার নিবন্ধিত ১৮১ সংস্থাকে মোট ৬৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ৪১ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকার চেক ও ১০২ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাকে ৪৫ লাখ টাকার সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যেও সনদ বিতরণ করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন