{ "@context": "https://schema.org", "@graph": [ { "@type": "Organization", "@id": "https://qawmitimes.com/#organization", "name": "QawmiTimes", "url": "https://qawmitimes.com/", "logo": { "@type": "ImageObject", "url": "https://qawmitimes.com/path/to/logo.png", "width": 600, "height": 60 }, "sameAs": [ "https://www.facebook.com/qawmitimes", "https://twitter.com/qawmitimes" ] }, { "@type": "WebSite", "@id": "https://qawmitimes.com/#website", "url": "https://qawmitimes.com/", "name": "QawmiTimes", "publisher": { "@id": "https://qawmitimes.com/#organization" }, "potentialAction": { "@type": "SearchAction", "target": "https://qawmitimes.com/?s={search_term_string}", "query-input": "required name=search_term_string" } }, { "@type": "WebPage", "@id": "{{PAGE_URL}}#webpage", "url": "{{PAGE_URL}}", "inLanguage": "bn‑BD", "name": "{{PAGE_TITLE}}", "isPartOf": { "@id": "https://qawmitimes.com/#website" }, "about": { "@id": "https://qawmitimes.com/#organization" }, "datePublished": "{{DATE_PUBLISHED}}", "dateModified": "{{DATE_MODIFIED}}", "breadcrumb": { "@type": "BreadcrumbList", "itemListElement": [ { "@type": "ListItem", "position": 1, "name": "Home", "item": "https://qawmitimes.com/" }, { "@type": "ListItem", "position": 2, "name": "{{CATEGORY_NAME}}", "item": "{{CATEGORY_URL}}" }, { "@type": "ListItem", "position": 3, "name": "{{PAGE_TITLE}}", "item": "{{PAGE_URL}}" } ] } } ] }
ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জনের দাবি করেছেন রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। তাদের উদ্ভাবিত নতুন ক্যানসার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’ মানবদেহে প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ ইতিবাচক সাড়া দেখিয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী রোগীদের টিউমার ছোট হয়েছে এবং কারও শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বায়োমেডিক্যাল গবেষকরা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, তাদের উদ্ভাবিত ক্যানসার প্রতিষেধক ‘এন্টারোমিক্স’ মানবদেহে পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপে শতভাগ সাড়া দিয়েছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া সকল রোগীর দেহে ভ্যাকসিনটি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং টিউমারের আকার দৃশ্যত হ্রাস পেয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই ভ্যাকসিন দেহের ইমিউন সিস্টেমকে পুনঃপ্রশিক্ষিত করে, যাতে এটি ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে আক্রমণ করতে পারে। এই প্রযুক্তি পূর্বে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতেও সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় কোনো অংশগ্রহণকারীর মধ্যে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সামান্য জ্বর বা ইনজেকশন স্থানে হালকা ব্যথা ছাড়া বড় কোনো জটিলতা ছিল না। ফলাফল অনুযায়ী, ভ্যাকসিনটি কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো ক্ষতিকর চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে।
রাশিয়ার গবেষক দলের প্রধান ড. ইয়েলেনা মোরোজোভা বলেন, “এন্টারোমিক্স আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করছে। এটি ক্যানসার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোতেও যদি একই কার্যকারিতা বজায় থাকে, তাহলে এই ভ্যাকসিনটি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার—যেমন ফুসফুস, স্তন, প্রোস্টেট বা ত্বকের ক্যানসার—এর ক্ষেত্রেও ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, “এই আবিষ্কার মানবজাতির ক্যানসারবিরোধী লড়াইয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছে।” এটি সফলভাবে বাজারে আসলে ক্যানসার রোগীদের জীবনমান ও আয়ুষ্কাল উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর কোটি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাই ‘এন্টারোমিক্স’-এর মতো উদ্ভাবন ক্যানসার চিকিৎসার ধারা পাল্টে দিতে পারে—যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক ঐতিহাসিক সাফল্যের সূচনা হতে পারে।

শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫
ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জনের দাবি করেছেন রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। তাদের উদ্ভাবিত নতুন ক্যানসার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’ মানবদেহে প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ ইতিবাচক সাড়া দেখিয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী রোগীদের টিউমার ছোট হয়েছে এবং কারও শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় বায়োমেডিক্যাল গবেষকরা সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, তাদের উদ্ভাবিত ক্যানসার প্রতিষেধক ‘এন্টারোমিক্স’ মানবদেহে পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপে শতভাগ সাড়া দিয়েছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়া সকল রোগীর দেহে ভ্যাকসিনটি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং টিউমারের আকার দৃশ্যত হ্রাস পেয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এই ভ্যাকসিন দেহের ইমিউন সিস্টেমকে পুনঃপ্রশিক্ষিত করে, যাতে এটি ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে আক্রমণ করতে পারে। এই প্রযুক্তি পূর্বে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতেও সফলভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা জানান, প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষায় কোনো অংশগ্রহণকারীর মধ্যে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। সামান্য জ্বর বা ইনজেকশন স্থানে হালকা ব্যথা ছাড়া বড় কোনো জটিলতা ছিল না। ফলাফল অনুযায়ী, ভ্যাকসিনটি কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের মতো ক্ষতিকর চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে।
রাশিয়ার গবেষক দলের প্রধান ড. ইয়েলেনা মোরোজোভা বলেন, “এন্টারোমিক্স আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করছে। এটি ক্যানসার চিকিৎসায় এক নতুন দিগন্তের সূচনা।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোতেও যদি একই কার্যকারিতা বজায় থাকে, তাহলে এই ভ্যাকসিনটি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার—যেমন ফুসফুস, স্তন, প্রোস্টেট বা ত্বকের ক্যানসার—এর ক্ষেত্রেও ব্যবহারযোগ্য হতে পারে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলছেন, “এই আবিষ্কার মানবজাতির ক্যানসারবিরোধী লড়াইয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছে।” এটি সফলভাবে বাজারে আসলে ক্যানসার রোগীদের জীবনমান ও আয়ুষ্কাল উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হতে পারে।
বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর কোটি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাই ‘এন্টারোমিক্স’-এর মতো উদ্ভাবন ক্যানসার চিকিৎসার ধারা পাল্টে দিতে পারে—যা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক ঐতিহাসিক সাফল্যের সূচনা হতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন