ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার একটি স্কুল মসজিদে শুক্রবারের নামাজের সময় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন। উত্তর জাকার্তার স্টেট সিনিয়র হাই স্কুল ৭২-এর ওই ঘটনাটি স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার (০৫.৩০জিএমটি) দিকে ঘটেছে বলে পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে 'জাকার্তা গ্লোব'। বেশিরভাগ আহতই কাঁচের টুকরা ও বিস্ফোরণের ধাক্কায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন, তবে কারও আঘাতই প্রাণঘাতী নয়। ঘটনার পেছনে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে এলিট অ্যান্টি-টেরর ইউনিট।
জাকার্তার স্কুল মসজিদে বিস্ফোরণের পর পরই বোমা স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। এই সময়ে, কর্তৃপক্ষ একটি লম্বা-ব্যারেলের আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করে। টিভিওয়ান (tvOne) চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া লম্বা-ব্যারেলের আগ্নেয়াস্ত্রটিতে একাধিক উস্কানিমূলক শিলালিপি বা খোদাই করা বার্তা পাওয়া গেছে।
এই শিলালিপিগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলায় ৫১ জনকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গি 'ব্রেন্টন ট্যারেন্ট'-এর নাম। এছাড়াও অস্ত্রটিতে 'ওয়েলকাম টু হেল' (Welcome to Hell - স্বাগতম নরকে) এবং 'ফর আগার্থা' (For Agartha) - এই দুটি বাক্য লেখা ছিল। আগার্থা একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের (Conspiracy Theory) অংশ, যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে উন্নত সত্ত্বারা গোপনে পৃথিবীকে শাসন করছে।
উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রে আরও খোদাই করা ছিল '১১৮৯' সালটি—যা তৃতীয় ক্রুসেড (Third Crusade) শুরু হওয়ার বছর। একই সঙ্গে, ২০১৭ সালে কানাডার ক্যুবেক সিটি মসজিদে হামলাকারী 'আলেক্সান্ডার বিসোনেট'-এর নামও অস্ত্রের গায়ে উৎকীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়।
'জাকার্তা গ্লোব'-এর তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি আরও কিছু সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি বিস্ফোরক ডিভাইসের মতো উপাদান, একটি রিমোট কন্ট্রোল, এবং এয়ারসফট ও রিভলভার ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশের অ্যান্টি-টেরর ডিটাচমেন্ট ৮৮-এর মুখপাত্র মাইন্দ্র একা ওয়ার্ধানার মতে, এটি ইচ্ছাকৃত বিস্ফোরক ব্যবহারের ঘটনা কিনা, তা নির্ধারণের জন্য এলিট অ্যান্টি-টেরর ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমাদের দল খতিয়ে দেখছে যে এই ঘটনার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য বা নেটওয়ার্কের যোগ আছে কিনা।" বর্তমানে উদ্ধার হওয়া সব আলামত ফরেনসিক ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বিষয় : ইন্দোনেশিয়া

রোববার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার একটি স্কুল মসজিদে শুক্রবারের নামাজের সময় একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ অন্তত ৫৪ জন আহত হয়েছেন। উত্তর জাকার্তার স্টেট সিনিয়র হাই স্কুল ৭২-এর ওই ঘটনাটি স্থানীয় সময় দুপুর সাড়ে ১২টার (০৫.৩০জিএমটি) দিকে ঘটেছে বলে পুলিশকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে 'জাকার্তা গ্লোব'। বেশিরভাগ আহতই কাঁচের টুকরা ও বিস্ফোরণের ধাক্কায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন, তবে কারও আঘাতই প্রাণঘাতী নয়। ঘটনার পেছনে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে এলিট অ্যান্টি-টেরর ইউনিট।
জাকার্তার স্কুল মসজিদে বিস্ফোরণের পর পরই বোমা স্কোয়াড ঘটনাস্থলে পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে। এই সময়ে, কর্তৃপক্ষ একটি লম্বা-ব্যারেলের আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি পিস্তল উদ্ধার করে। টিভিওয়ান (tvOne) চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া লম্বা-ব্যারেলের আগ্নেয়াস্ত্রটিতে একাধিক উস্কানিমূলক শিলালিপি বা খোদাই করা বার্তা পাওয়া গেছে।
এই শিলালিপিগুলোর মধ্যে রয়েছে ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলায় ৫১ জনকে হত্যাকারী অস্ট্রেলিয়ান শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী জঙ্গি 'ব্রেন্টন ট্যারেন্ট'-এর নাম। এছাড়াও অস্ত্রটিতে 'ওয়েলকাম টু হেল' (Welcome to Hell - স্বাগতম নরকে) এবং 'ফর আগার্থা' (For Agartha) - এই দুটি বাক্য লেখা ছিল। আগার্থা একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্বের (Conspiracy Theory) অংশ, যেখানে বিশ্বাস করা হয় যে উন্নত সত্ত্বারা গোপনে পৃথিবীকে শাসন করছে।
উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রে আরও খোদাই করা ছিল '১১৮৯' সালটি—যা তৃতীয় ক্রুসেড (Third Crusade) শুরু হওয়ার বছর। একই সঙ্গে, ২০১৭ সালে কানাডার ক্যুবেক সিটি মসজিদে হামলাকারী 'আলেক্সান্ডার বিসোনেট'-এর নামও অস্ত্রের গায়ে উৎকীর্ণ অবস্থায় পাওয়া যায়।
'জাকার্তা গ্লোব'-এর তথ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলের কাছাকাছি আরও কিছু সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে হাতে তৈরি বিস্ফোরক ডিভাইসের মতো উপাদান, একটি রিমোট কন্ট্রোল, এবং এয়ারসফট ও রিভলভার ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র।
পুলিশের অ্যান্টি-টেরর ডিটাচমেন্ট ৮৮-এর মুখপাত্র মাইন্দ্র একা ওয়ার্ধানার মতে, এটি ইচ্ছাকৃত বিস্ফোরক ব্যবহারের ঘটনা কিনা, তা নির্ধারণের জন্য এলিট অ্যান্টি-টেরর ইউনিট মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, "আমাদের দল খতিয়ে দেখছে যে এই ঘটনার সঙ্গে কোনো সন্ত্রাসী উদ্দেশ্য বা নেটওয়ার্কের যোগ আছে কিনা।" বর্তমানে উদ্ধার হওয়া সব আলামত ফরেনসিক ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আপনার মতামত লিখুন