ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

বদদ্বীনি প্রবণতা, জাতীয় সিদ্ধান্তে আলেমদের ভূমিকা ও ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে শীর্ষ নেতাদের কঠোর মন্তব্য

উলামায়ে কেরাম ছাড়া কোনো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আর গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

উলামায়ে কেরাম ছাড়া কোনো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আর গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জাতীয় উলামা সম্মেলনে দেশের শীর্ষ আলেমরা ধর্মীয় বিকৃতি, কুফরি প্রবণতা ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। ‘জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা, গবেষক ও দাঈরা। বক্তারা ইসলামী রাজনীতির বর্তমান পরিবেশকে “সোনালি সময়” উল্লেখ করে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

‘জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রমনায় আয়োজিত জাতীয় উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি এবং ইসলামের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রবণতার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে ইসলামবিরোধী কার্যক্রম চালানোদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, গত ১৫–১৬ বছরে নানা চাপ ও রাজনৈতিক নিপীড়নের মধ্যেও আলেমসমাজ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঐক্য বজায় রেখেছে; তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে কিছু মতভিন্নতা দেখা গেলেও সামনে তৈরি হওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, ইসলামী রাজনীতিতে কৌশলগত ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দাবি করেন, দেশের আগামী কোনো জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আলেমদের বাইরে রেখে নেওয়া যাবে না। জাতীয় উলামা কাউন্সিলকে “সর্বজনীন ঐক্যের প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, বাতিলের বিরুদ্ধে আলেমসমাজ একসঙ্গে লড়াই করবে—“মরবো, তবে বিভক্ত হবো না”। তিনি ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানীবিরোধী আন্দোলনকে “শুরু মাত্র” বলে উল্লেখ করেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান তরুণ আলেমদের উদ্দেশে বলেন, ইলম ও যোগ্যতা অর্জনই হবে নেতৃত্বের ভিত্তি। একই সঙ্গে তিনি অভ্যন্তরীণ বিভাজন এড়িয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপূরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী, মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত নেতাদের বক্তব্যে মূলত ঐক্য, নেতৃত্ব, ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও জাতীয় পর্যায়ে আলেমদের ভূমিকা সুদৃঢ় করার আহ্বান উঠে আসে।

বিষয় : জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশ

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫


উলামায়ে কেরাম ছাড়া কোনো রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আর গ্রহণ করতে দেওয়া হবে না

প্রকাশের তারিখ : ২০ নভেম্বর ২০২৫

featured Image

রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জাতীয় উলামা সম্মেলনে দেশের শীর্ষ আলেমরা ধর্মীয় বিকৃতি, কুফরি প্রবণতা ও ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। ‘জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এই সম্মেলনে অংশ নেন বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতারা, গবেষক ও দাঈরা। বক্তারা ইসলামী রাজনীতির বর্তমান পরিবেশকে “সোনালি সময়” উল্লেখ করে ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

‘জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশ’-এর আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রমনায় আয়োজিত জাতীয় উলামা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি এবং ইসলামের নামে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী প্রবণতার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ইসলামের নাম ব্যবহার করে ইসলামবিরোধী কার্যক্রম চালানোদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, গত ১৫–১৬ বছরে নানা চাপ ও রাজনৈতিক নিপীড়নের মধ্যেও আলেমসমাজ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ঐক্য বজায় রেখেছে; তবে ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে কিছু মতভিন্নতা দেখা গেলেও সামনে তৈরি হওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক বলেন, ইসলামী রাজনীতিতে কৌশলগত ধৈর্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি দাবি করেন, দেশের আগামী কোনো জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আলেমদের বাইরে রেখে নেওয়া যাবে না। জাতীয় উলামা কাউন্সিলকে “সর্বজনীন ঐক্যের প্ল্যাটফর্ম” হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ বলেন, বাতিলের বিরুদ্ধে আলেমসমাজ একসঙ্গে লড়াই করবে—“মরবো, তবে বিভক্ত হবো না”। তিনি ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানীবিরোধী আন্দোলনকে “শুরু মাত্র” বলে উল্লেখ করেন।

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান তরুণ আলেমদের উদ্দেশে বলেন, ইলম ও যোগ্যতা অর্জনই হবে নেতৃত্বের ভিত্তি। একই সঙ্গে তিনি অভ্যন্তরীণ বিভাজন এড়িয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপূরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা ইসমাঈল নুরপুরী, মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আযহারীসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা। উপস্থিত নেতাদের বক্তব্যে মূলত ঐক্য, নেতৃত্ব, ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও জাতীয় পর্যায়ে আলেমদের ভূমিকা সুদৃঢ় করার আহ্বান উঠে আসে।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত