বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত বেরিস একিঞ্চি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে গভীর আলোচনা হয়।তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত বেরিস একিঞ্চি মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই দেশের ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিখাতে নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।রাষ্ট্রদূত একিঞ্চি জানান, এটি তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর। তিনি বাংলাদেশের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। এ সময় তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান।অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করে বলেন, “আমরা আমাদের সম্পর্ককে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও উচ্চতায় নিতে চাই। জুলাই বিপ্লবের পর এটি একটি নতুন সূচনা।” তিনি বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে।প্রধান উপদেষ্টা তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে আহত সাতজন বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞ।উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী একিঞ্চি বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় তুরস্কের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, “তুরস্ক শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি বৃত্তি কর্মসূচি চালু রেখেছে।”বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. আমানুল হক, এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মোশারফ হোসেন।