পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা উপস্থিতি: ভারতের দ্বিচারিতা ও অস্থিতিশীলতার নীলনকশা
কাশ্মীর থেকে নাগাল্যান্ড—ভারতের প্রতিটি পাহাড়েই সেনা শাসন স্বাভাবিক। চীন, পাকিস্তান, নেপালও একই কৌশল অনুসরণ করে। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে বারবার। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি ভারতের কূটনৈতিক চক্রান্ত এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা তৈরির নীলনকশার অংশ।ভারতের পাহাড়ে সেনা শক্তিকাশ্মীরে সাত লাখ সেনা মোতায়েন, নাগাল্যান্ডে ছয় দশক ধরে দমননীতি, অরুণাচল প্রদেশে চীন ভীতি—ভারত নিজস্ব পাহাড়ি অঞ্চলে সেনার স্থায়ী উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। প্রতিটি পাহাড়ি গিরিপথে ক্যাম্প, বাঙ্কার ও চেকপোস্ট দৃশ্যমান। একইভাবে চীন, পাকিস্তান ও নেপালও সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ, বিচ্ছিন্নতাবাদ দমন ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে পাহাড়ে সেনা মোতায়েন রেখেছে।বাংলাদেশে সেনা উপস্থিতি নিয়ে বিতর্ক১৯৯৭ সালের শান্তিচুক্তির পর সেনা ক্যাম্প সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এলেও ইউপিডিএফসহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো নতুন করে সক্রিয় হয়। চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন ও সশস্ত্র হামলার ঘটনা বেড়ে যায়। এরপর থেকেই ‘সেনা হটাও’ স্লোগান তুলছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের দাবি, এসব গোষ্ঠীর মদত দিচ্ছে ভারত, বিশেষ করে মিজোরাম সীমান্ত থেকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছে ইউপিডিএফ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহীদুজ্জামান বলেন, “ভারত নিজেদের পাহাড়ে দমননীতি চালায়, অথচ বাংলাদেশের সেনা উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এটি কেবল রাজনৈতিক নয়, কূটনৈতিক চক্রান্ত।”নিরাপত্তা বাহিনীর অবস্থানসেনা কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পাহাড় নিয়ন্ত্রণে সেনা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। “সেনা না থাকলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ হারাবে,” বলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদ। খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরাও সেনা উপস্থিতিকে নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনের শর্ত হিসেবে দেখছেন।‘ধর্ষণ নাটক’ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টাসেনা কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পাহাড় নিয়ন্ত্রণে সেনা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। “সেনা না থাকলে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ন্ত্রণ হারাবে,” বলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর এমদাদ। খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরাও সেনা উপস্থিতিকে নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবনের শর্ত হিসেবে দেখছেন।‘ধর্ষণ নাটক’ ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টাসাম্প্রতিক খাগড়াছড়ি ধর্ষণ অভিযোগের মেডিকেল রিপোর্টে কোনো প্রমাণ মেলেনি। গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, এটি ছিল পরিকল্পিত নাটক—যাতে সেনা উপস্থিতির বিরুদ্ধে আন্দোলন উসকে দেওয়া যায়। এ ঘটনার পেছনে ভারতের মদত এবং ইউপিডিএফের সক্রিয় ভূমিকার অভিযোগ তুলেছে নিরাপত্তা বাহিনী।আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
বিশ্বের অন্যান্য পাহাড়ি দেশে যেমন সীমান্ত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনা মোতায়েন করা হয়, বাংলাদেশও একই বাস্তবতায় রয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সেনা ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি সম্ভব নয়। ভারতের সমালোচনা তাই মূলত রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট।