জাপানে চালক পাঠাতে বাংলাদেশে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপন করবে ওয়াতামি গ্রুপ
বাংলাদেশে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে জাপানের খ্যাতনামা শিল্প প্রতিষ্ঠান ওয়াতামি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মিকি ওয়াতানাবে বলেছেন, জাপানে প্রশিক্ষিত চালকের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশে একটি আধুনিক ড্রাইভিং স্কুল স্থাপন করা হবে।শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জাপানের উদ্যোক্তা ও রাজনীতিবিদ মিকি ওয়াতানাবে। বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা বর্তমানে প্রায় ১২ হাজার বর্গমিটারের একটি জায়গা খুঁজছি, যেখানে জাপানি মানের ড্রাইভিং স্কুল গড়ে তোলা হবে।”ওয়াতানাবে উল্লেখ করেন, জাপানে দক্ষ চালকের ঘাটতি দীর্ঘদিনের, আর বাংলাদেশ হতে পারে সেই শূন্যতা পূরণের অন্যতম প্রধান উৎস। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে নরসিংদীর মনোহরদীতে একটি ভাষা প্রশিক্ষণ একাডেমি স্থাপন করেছে, যেখানে প্রতি ব্যাচে ৪০ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ৫২ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী জাপানে কর্মরত আছেন।প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঢাকার উপকণ্ঠে ড্রাইভিং স্কুল স্থাপনের উপযুক্ত জমি চিহ্নিতের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে জাপানি সংস্কৃতি, শিষ্টাচার ও কর্মনীতির শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি, যাতে কর্মীরা দেশটিতে যাওয়ার আগে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত হতে পারে।”ওয়াতানাবে জানান, তার প্রতিষ্ঠান নার্সিং, কৃষি ও নির্মাণ খাতে প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণেও আগ্রহী। ইউনূস এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব খাতে প্রশিক্ষিত শ্রমিকদের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাপানের শ্রমবাজারে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সচিব ও এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। ইউনূস জাপানি ভাষা দক্ষতা পরীক্ষার সংখ্যা বছরে দু’বারের পরিবর্তে বাড়ানোর প্রস্তাব দেন, যাতে আরও বেশি প্রার্থী কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়।ওয়াতানাবে বৈঠকে গাজীপুরের নারায়ণকূলে এক দশক আগে অধ্যাপক ইউনূসের অনুপ্রেরণায় প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয়ের প্রসঙ্গও তোলেন। তিনি বলেন, “বিদ্যালয়টিতে এখন ১,৫০০ শিক্ষার্থী পড়ছে, এবং এটি দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের এক অনন্য দৃষ্টান্ত।”