গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে কাসাম ব্রিগেডের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছে। হামলা চলাকালীন কাসাম যোদ্ধারা ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার এবং যানবাহনগুলোকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ও মেশিনগানের গুলি ব্যবহার করেছে।
হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে তারা গাজা শহরের দক্ষিণে তেল আল-হাওয়া পাড়ায় রোজারি সিস্টার্স স্কুলের ভিতরে ইসরায়েলি সৈন্য ও যানবাহনের সমাবেশ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাসাম যোদ্ধারা ঘনিষ্ঠ দূর থেকে গুলি চালিয়ে শত্রু সৈন্যদের হত্যা ও আহত করেছে। কয়েকজন যোদ্ধা দুটি ইহুদি কর্মী বাহককে ভ্যাকুয়াম বোমা দিয়ে লক্ষ্য করেছে এবং একটি মেরকাভা ট্যাঙ্কও কমান্ডো বোমা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার সময় কাসাম যোদ্ধারা হেলিকপ্টারের অবতরণ পর্যবেক্ষণ করেছিল।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি নিরাপত্তা ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর হানাদার বাহিনীর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় চলমান নিরাপত্তা ঘটনার সময় অন্তত ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত ও আহত সৈন্যদের ইসরায়েলের তিনটি প্রধান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কাসাম ব্রিগেড গত কয়েকদিনে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনা ও যানবাহনের উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর তারা সাবরা পাড়ার দক্ষিণে মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংসের সফল অভিযান চালিয়েছিল। ২০ সেপ্টেম্বরও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তারা নতুন স্থাপিত শত্রু অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ট্যাঙ্ক, মর্টার শেল ও হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। কাসাম ব্রিগেডের দাবি, এই অভিযান কয়েক ঘন্টা ধরে চলেছে এবং হামলার সময় আত্মঘাতী বোমারু সৈন্যের মাধ্যমে শত্রুদের আরও ধ্বংস করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে।

শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাজার দক্ষিণে ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে কাসাম ব্রিগেডের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত ও গুরুতর আহত হয়েছে। হামলা চলাকালীন কাসাম যোদ্ধারা ট্যাঙ্ক, হেলিকপ্টার এবং যানবাহনগুলোকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরক ও মেশিনগানের গুলি ব্যবহার করেছে।
হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার বিকেলে তারা গাজা শহরের দক্ষিণে তেল আল-হাওয়া পাড়ায় রোজারি সিস্টার্স স্কুলের ভিতরে ইসরায়েলি সৈন্য ও যানবাহনের সমাবেশ লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাসাম যোদ্ধারা ঘনিষ্ঠ দূর থেকে গুলি চালিয়ে শত্রু সৈন্যদের হত্যা ও আহত করেছে। কয়েকজন যোদ্ধা দুটি ইহুদি কর্মী বাহককে ভ্যাকুয়াম বোমা দিয়ে লক্ষ্য করেছে এবং একটি মেরকাভা ট্যাঙ্কও কমান্ডো বোমা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। হামলার সময় কাসাম যোদ্ধারা হেলিকপ্টারের অবতরণ পর্যবেক্ষণ করেছিল।
ইসরায়েলি গণমাধ্যম সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি নিরাপত্তা ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর হানাদার বাহিনীর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে। হিব্রু সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় চলমান নিরাপত্তা ঘটনার সময় অন্তত ১৩ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন এবং আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। নিহত ও আহত সৈন্যদের ইসরায়েলের তিনটি প্রধান হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কাসাম ব্রিগেড গত কয়েকদিনে গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনা ও যানবাহনের উপর ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। ২২ সেপ্টেম্বর তারা সাবরা পাড়ার দক্ষিণে মেরকাভা ট্যাঙ্ক ধ্বংসের সফল অভিযান চালিয়েছিল। ২০ সেপ্টেম্বরও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে তারা নতুন স্থাপিত শত্রু অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে ট্যাঙ্ক, মর্টার শেল ও হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে। কাসাম ব্রিগেডের দাবি, এই অভিযান কয়েক ঘন্টা ধরে চলেছে এবং হামলার সময় আত্মঘাতী বোমারু সৈন্যের মাধ্যমে শত্রুদের আরও ধ্বংস করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘর্ষ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করবে এবং গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করতে পারে।

আপনার মতামত লিখুন