কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মানবপাচারের কবল থেকে উদ্ধার হলো সাত নারী ও এক শিশু। পাচারকারীরা সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য তাদের গহীন পাহাড়ে আটকে রেখেছিল। তবে অভিযানের আগাম খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বুধবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়ার জুম্মাপাড়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথভাবে অংশ নেয়। তারা পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে সাতজন নারী ও এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য জিম্মি করে পাহাড়ে রাখা হয়েছিল।
অভিযান চলাকালে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারকৃত নারী ও শিশুকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা আবারও বাড়ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী টেকনাফে সক্রিয় পাচারকারীরা দালাল চক্রের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারণা করে পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনায় মানবপাচার রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় অধিকারকর্মীরা।

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে যৌথ বাহিনীর অভিযানে মানবপাচারের কবল থেকে উদ্ধার হলো সাত নারী ও এক শিশু। পাচারকারীরা সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য তাদের গহীন পাহাড়ে আটকে রেখেছিল। তবে অভিযানের আগাম খবর পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক বুধবার দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টেকনাফের বাহারছড়ার জুম্মাপাড়া পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনী যৌথভাবে অংশ নেয়। তারা পাচারকারীদের গোপন আস্তানা থেকে সাতজন নারী ও এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য জিম্মি করে পাহাড়ে রাখা হয়েছিল।
অভিযান চলাকালে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধারকৃত নারী ও শিশুকে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ড জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবণতা আবারও বাড়ছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী টেকনাফে সক্রিয় পাচারকারীরা দালাল চক্রের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারণা করে পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ ধরনের অপরাধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ঘটনায় মানবপাচার রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় অধিকারকর্মীরা।

আপনার মতামত লিখুন