মার্কিন কংগ্রেস নতুন বাজেট বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বশেষ ‘শাটডাউন’। অপ্রয়োজনীয় খাতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, আর লক্ষাধিক কর্মচারীকে বাধ্য হয়ে বেতনহীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বৈদেশিক সহায়তা রক্ষায় জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে রিপাবলিকানরা ব্যাপক কাটছাঁট দাবি করছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, এই বাজেট অচলাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ফেডারেল কর্মচারীদের গণছাঁটাই করা হতে পারে।
শাটডাউন কী?
যখন কংগ্রেস সময়মতো বাজেট বা অন্তর্বর্তীকালীন অর্থায়ন বিল (Continuing Resolution) অনুমোদন করতে পারে না, তখন আইনগতভাবে সরকারের অর্থ ব্যয় বন্ধ হয়ে যায়। এতে শুধুমাত্র “অত্যাবশ্যক সেবা” (যেমন জাতীয় নিরাপত্তা, বিমান নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা) চালু থাকে। বাকিগুলো বন্ধ হয়ে যায় বা সীমিত আকারে চলে।
অতীত অভিজ্ঞতা:
১৯৭৬ সালে বর্তমান বাজেট প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বার পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন হয়েছে। সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত—মোট ৩৫ দিন। তখনও ট্রাম্প প্রশাসন এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থায়ন নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতি:
মার্কিন কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (CBO) জানিয়েছে, শাটডাউন চলতে থাকলে প্রতিদিন প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার কর্মচারী বেতন ছাড়া কাজে বিরত থাকবে, এবং এতে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কোন সেবা বন্ধ থাকবে?
জাতীয় উদ্যান ও জাদুঘর
অনেক সরকারি গবেষণা প্রকল্প
ট্যাক্স বিভাগ (IRS) এর নানা সেবা
কিছু সামাজিক ভাতা প্রসেসিং
কোন সেবা চালু থাকবে?
সামাজিক নিরাপত্তা ও মেডিকেয়ার সুবিধা
সামরিক বাহিনী ও ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা
ডাক বিভাগ (USPS)
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ
পাসপোর্ট অফিস
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী হলে এই শাটডাউন শুধু কর্মচারী নয়, বরং পর্যটন, গবেষণা, শিক্ষা ও বেসরকারি খাতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিষয় : যুক্তরাষ্ট্র

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
মার্কিন কংগ্রেস নতুন বাজেট বিল পাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে (স্থানীয় সময়) শুরু হলো যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সর্বশেষ ‘শাটডাউন’। অপ্রয়োজনীয় খাতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে, আর লক্ষাধিক কর্মচারীকে বাধ্য হয়ে বেতনহীন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
ডেমোক্র্যাটরা স্বাস্থ্যসেবা, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও বৈদেশিক সহায়তা রক্ষায় জোর দিচ্ছে, অন্যদিকে রিপাবলিকানরা ব্যাপক কাটছাঁট দাবি করছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, এই বাজেট অচলাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ফেডারেল কর্মচারীদের গণছাঁটাই করা হতে পারে।
শাটডাউন কী?
যখন কংগ্রেস সময়মতো বাজেট বা অন্তর্বর্তীকালীন অর্থায়ন বিল (Continuing Resolution) অনুমোদন করতে পারে না, তখন আইনগতভাবে সরকারের অর্থ ব্যয় বন্ধ হয়ে যায়। এতে শুধুমাত্র “অত্যাবশ্যক সেবা” (যেমন জাতীয় নিরাপত্তা, বিমান নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা) চালু থাকে। বাকিগুলো বন্ধ হয়ে যায় বা সীমিত আকারে চলে।
অতীত অভিজ্ঞতা:
১৯৭৬ সালে বর্তমান বাজেট প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ বার পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন হয়েছে। সবচেয়ে দীর্ঘ শাটডাউন হয়েছিল ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত—মোট ৩৫ দিন। তখনও ট্রাম্প প্রশাসন এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের অর্থায়ন নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছিল।
বর্তমান পরিস্থিতি:
মার্কিন কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (CBO) জানিয়েছে, শাটডাউন চলতে থাকলে প্রতিদিন প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার কর্মচারী বেতন ছাড়া কাজে বিরত থাকবে, এবং এতে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কোন সেবা বন্ধ থাকবে?
জাতীয় উদ্যান ও জাদুঘর
অনেক সরকারি গবেষণা প্রকল্প
ট্যাক্স বিভাগ (IRS) এর নানা সেবা
কিছু সামাজিক ভাতা প্রসেসিং
কোন সেবা চালু থাকবে?
সামাজিক নিরাপত্তা ও মেডিকেয়ার সুবিধা
সামরিক বাহিনী ও ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা
ডাক বিভাগ (USPS)
বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ
পাসপোর্ট অফিস
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘস্থায়ী হলে এই শাটডাউন শুধু কর্মচারী নয়, বরং পর্যটন, গবেষণা, শিক্ষা ও বেসরকারি খাতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

আপনার মতামত লিখুন