আফগান সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী হামলা বাড়ছে পাকিস্তানে। কাবুলের তালেবান সরকার টিটিপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনীহা দেখানোয় ইসলামাবাদ সামরিক অভিযান ও আফগান শরণার্থী বহিষ্কারের মতো কঠোর বিকল্প বিবেচনা করছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্পষ্ট ভাষায় কাবুলকে সতর্ক করেছেন—আতঙ্কবাদীদের আশ্রয় দিলে পাকিস্তান আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তবে তালেবান নেতৃত্ব বলছে, পাকিস্তান যেন উসকানিমূলক বক্তব্য না দিয়ে তথ্য বিনিময় করে যৌথভাবে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করে।
ইসলামাবাদভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক Pakistan Institute for Conflict and Security Studies (PICSS) জানায়, আগস্ট ২০২৫ ছিল গত এক দশকের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী মাস। শুধু আগস্টেই ১৪৩টি জঙ্গি হামলা ঘটে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালে পাকিস্তানে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ছিল ২,৫০০-এর বেশি।
চীন, রাশিয়া ও ইরানসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো পাকিস্তানকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিলেও তালেবান এখনো টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, তালেবান ও টিটিপির আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে এ অবস্থার পরিবর্তন শিগগিরই সম্ভব নয়।
পাকিস্তান ইতিমধ্যেই কয়েক দফা সীমান্তপারে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার শিকার সাধারণ মানুষও হয়েছে। পাশাপাশি আফগান শরণার্থী ফেরত পাঠানোর নীতি জোরদার করায় মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানকে শুধু সামরিক পদক্ষেপ নয়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমন্বয় ও স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তের দুই পাশে অবিশ্বাস ও অভিযোগ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় রূপ নিয়েছে। টিটিপি শুধু সামরিক হুমকি নয়; এটি স্থানীয় বঞ্চনা ও রাষ্ট্রের প্রতি আস্থাহীনতাকে কাজে লাগাচ্ছে। ফলে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা পাকিস্তানের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছে।
বিষয় : পাকিস্তান আফগানিস্তান

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০১ অক্টোবর ২০২৫
আফগান সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী হামলা বাড়ছে পাকিস্তানে। কাবুলের তালেবান সরকার টিটিপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অনীহা দেখানোয় ইসলামাবাদ সামরিক অভিযান ও আফগান শরণার্থী বহিষ্কারের মতো কঠোর বিকল্প বিবেচনা করছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ স্পষ্ট ভাষায় কাবুলকে সতর্ক করেছেন—আতঙ্কবাদীদের আশ্রয় দিলে পাকিস্তান আফগান অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে। তবে তালেবান নেতৃত্ব বলছে, পাকিস্তান যেন উসকানিমূলক বক্তব্য না দিয়ে তথ্য বিনিময় করে যৌথভাবে সন্ত্রাস প্রতিরোধ করে।
ইসলামাবাদভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক Pakistan Institute for Conflict and Security Studies (PICSS) জানায়, আগস্ট ২০২৫ ছিল গত এক দশকের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী মাস। শুধু আগস্টেই ১৪৩টি জঙ্গি হামলা ঘটে, যা ২০১৪ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালে পাকিস্তানে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ছিল ২,৫০০-এর বেশি।
চীন, রাশিয়া ও ইরানসহ আঞ্চলিক শক্তিগুলো পাকিস্তানকে সহযোগিতা করার প্রস্তাব দিলেও তালেবান এখনো টিটিপির বিরুদ্ধে কঠোর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, তালেবান ও টিটিপির আদর্শিক ও সাংস্কৃতিক ঘনিষ্ঠতার কারণে এ অবস্থার পরিবর্তন শিগগিরই সম্ভব নয়।
পাকিস্তান ইতিমধ্যেই কয়েক দফা সীমান্তপারে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার শিকার সাধারণ মানুষও হয়েছে। পাশাপাশি আফগান শরণার্থী ফেরত পাঠানোর নীতি জোরদার করায় মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানকে শুধু সামরিক পদক্ষেপ নয়, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সমন্বয় ও স্থানীয় জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমে সমাধান খুঁজতে হবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সীমান্তের দুই পাশে অবিশ্বাস ও অভিযোগ দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় রূপ নিয়েছে। টিটিপি শুধু সামরিক হুমকি নয়; এটি স্থানীয় বঞ্চনা ও রাষ্ট্রের প্রতি আস্থাহীনতাকে কাজে লাগাচ্ছে। ফলে সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা পাকিস্তানের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠছে।

আপনার মতামত লিখুন