
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত খসড়ার প্রতিফলন নয়। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেছেন, টিস্যুটিতে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় ট্রাম্পের নথিতে নেই এবং তাই তাদের খসড়ার সঙ্গে মিল নেই।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প যে ২০-বিন্দুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সেটি “আমাদের নথি নয়” — এতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, রক্তপাত বন্ধ, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধসহ খসড়ায় থাকা বেশ কিছু প্রাথমিক ধারা পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলিত হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানসহ সাতটি মুসলিম রাষ্ট্র যৌথভাবে একটি খসড়া-বিবৃতি প্রস্তুত করেছে এবং সেটিই তারা সমর্থন করে।
ট্রাম্প গত কয়েকদিনে সরকারিভাবে গাজার যুদ্ধ শেষের জন্য ২০-বিন্দুর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন এবং তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা শেষে তা দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নেতৃত্বে এই পরিকল্পনায় ভারতীয় প্রকারভেদের চেয়ে ভিন্নভাবে হস্তক্ষেপ ও ধারা নির্ধারিত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে।
ইসলামাবাদ বলেছে, তাদের খসড়া-প্রস্তাবে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে — তা হলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতকরণ, গাজায় রক্তপাত বন্ধ করা, মানবিক সহায়তা বাধাহীন পৌঁছানো এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করা — এগুলো ট্রাম্পের প্রকাশিত নথিতে যথেষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়নি। পাকিস্তান দুরত্ব তুলে ধরে বলেছেন, তারা এমন একটি শান্তি পরিকল্পনার পক্ষে যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ মানবিক প্রবেশাধিকার ও গাজাবাসীর অধিকার সুরক্ষায় নিশ্চিততা দেবে।
কয়েকটি প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিলেন—ফলশ্রুতিতে মূল খসড়ার কিছু ধারা বদলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু মিডিয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের নথি প্রকাশিত সংস্করণটি আরব ও ইসলামিক ব্লকের খসড়ার তুলনায় বদলানো ও আরোপিত।
সরকারি পর্যায়ে-পাখির বৈশাখে ভিন্ন মত থাকলেও অনেক দেশের কূটনৈতিক করিডরে এই পরিকল্পনার গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাকিস্তান স্পষ্ট করেছেন, তারা এমন কোনো ডকুমেন্টকে সহায়তা করবে না যা গাজাবাসীর মৌলিক অধিকার ও মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে অস্থির থাকায় ভবিষ্যত আলোচনা ও সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ইসলামাবাদ ট্রাম্পের ঘোষিত ২০-বিন্দু পরিকল্পনাকে নিজেদের খসড়া নথির প্রতিফলন না বলে অস্বীকার করেছে এবং এমন একটি স্থায়ী ও মানবিকতাভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান বজায় রেখেছে, যা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, মানবিক প্রবেশাধিকার ও গাজাবাসীর অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেবে।
বিষয় : আন্তর্জাতিক পাকিস্তান ট্রাম্প গাজা কূটনীতি
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ ইসহাক দার জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা আরব ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত খসড়ার প্রতিফলন নয়। ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেছেন, টিস্যুটিতে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয় ট্রাম্পের নথিতে নেই এবং তাই তাদের খসড়ার সঙ্গে মিল নেই।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প যে ২০-বিন্দুর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সেটি “আমাদের নথি নয়” — এতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, রক্তপাত বন্ধ, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো ও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধসহ খসড়ায় থাকা বেশ কিছু প্রাথমিক ধারা পর্যাপ্তভাবে প্রতিফলিত হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানসহ সাতটি মুসলিম রাষ্ট্র যৌথভাবে একটি খসড়া-বিবৃতি প্রস্তুত করেছে এবং সেটিই তারা সমর্থন করে।
ট্রাম্প গত কয়েকদিনে সরকারিভাবে গাজার যুদ্ধ শেষের জন্য ২০-বিন্দুর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন এবং তিনি বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা শেষে তা দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নেতৃত্বে এই পরিকল্পনায় ভারতীয় প্রকারভেদের চেয়ে ভিন্নভাবে হস্তক্ষেপ ও ধারা নির্ধারিত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট এসেছে।
ইসলামাবাদ বলেছে, তাদের খসড়া-প্রস্তাবে যেসব বিষয় অগ্রাধিকার পেয়েছে — তা হলো অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতকরণ, গাজায় রক্তপাত বন্ধ করা, মানবিক সহায়তা বাধাহীন পৌঁছানো এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করা — এগুলো ট্রাম্পের প্রকাশিত নথিতে যথেষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়নি। পাকিস্তান দুরত্ব তুলে ধরে বলেছেন, তারা এমন একটি শান্তি পরিকল্পনার পক্ষে যা স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ মানবিক প্রবেশাধিকার ও গাজাবাসীর অধিকার সুরক্ষায় নিশ্চিততা দেবে।
কয়েকটি প্রতিবেদন বলছে, ইসরায়েলি নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার জন্য চাপ প্রয়োগ করেছিলেন—ফলশ্রুতিতে মূল খসড়ার কিছু ধারা বদলে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কিছু মিডিয়া সূত্রে জানানো হয়েছে, ট্রাম্পের নথি প্রকাশিত সংস্করণটি আরব ও ইসলামিক ব্লকের খসড়ার তুলনায় বদলানো ও আরোপিত।
সরকারি পর্যায়ে-পাখির বৈশাখে ভিন্ন মত থাকলেও অনেক দেশের কূটনৈতিক করিডরে এই পরিকল্পনার গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাকিস্তান স্পষ্ট করেছেন, তারা এমন কোনো ডকুমেন্টকে সহায়তা করবে না যা গাজাবাসীর মৌলিক অধিকার ও মানবিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়। পরিস্থিতি কূটনৈতিকভাবে অস্থির থাকায় ভবিষ্যত আলোচনা ও সমন্বয় গুরুত্বপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ইসলামাবাদ ট্রাম্পের ঘোষিত ২০-বিন্দু পরিকল্পনাকে নিজেদের খসড়া নথির প্রতিফলন না বলে অস্বীকার করেছে এবং এমন একটি স্থায়ী ও মানবিকতাভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান বজায় রেখেছে, যা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, মানবিক প্রবেশাধিকার ও গাজাবাসীর অধিকার রক্ষার আশ্বাস দেবে।
আপনার মতামত লিখুন