ফ্রান্সের একটি মসজিদে মুসলিম যুবক আবু বকর সিসে (২৪) নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় ন্যায়বিচার ও খুনির কারাদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তার মা ফাতুমাতা দিয়াগুরাগা। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে খুনিকে মানসিক রোগী হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে।
গত ২৫ এপ্রিল ফ্রান্সের গার্দ অঞ্চলের খদিজা মসজিদে নামাজের সময় ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হামলাকারী অলিভিয়ে এইচ. মসজিদে এসে সিসের কাছে নামাজ শেখার অনুরোধ জানায়। কিন্তু সিজদার সময় হঠাৎই সে সিসেকে প্রায় ৫০ বার ছুরিকাঘাত করে এবং পুরো ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
হত্যার পর খুনি ইতালির পিস্তোইয়া শহরে পালিয়ে যায় এবং দুই দিন পর ২৭ এপ্রিল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাকে ফ্রান্সে হস্তান্তর করা হয়। প্রথমে ফরাসি কর্তৃপক্ষ তাকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে আটক করলেও ২০ জুন তাকে দক্ষিণ ফ্রান্সের এক মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আবু বকর সিসের মা ফাতুমাতা অভিযোগ করেন, “যদি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে সে আমার ছেলের মতো অন্য কারও জীবন নেবে।” পরিবারের নিয়োজিত আইনজীবীরাও খুনির মানসিক অসুস্থতার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অন্যদিকে, ভিকটিমের চাচাতো ভাই ইউরো সিসে জানান, হাসপাতালের রিপোর্টে মানসিক সমস্যার কথা উল্লেখ থাকলেও তা মিথ্যা প্রমাণে আইনি লড়াই চলছে। তার দাবি, এই হত্যাকাণ্ড সরাসরি ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ার ফলাফল।
২৪ বছর বয়সী আবু বকর সিসে নিয়মিতভাবে মসজিদ পরিষ্কার করতেন এবং জুমার নামাজের আগে স্বেচ্ছাশ্রম দিতেন। সিসেদ্বারা সিজদার সময় খুন হওয়ার ঘটনাটি ফ্রান্সে মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
বিষয় : ফ্রান্স

বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০২ অক্টোবর ২০২৫
ফ্রান্সের একটি মসজিদে মুসলিম যুবক আবু বকর সিসে (২৪) নির্মমভাবে খুন হওয়ার ঘটনায় ন্যায়বিচার ও খুনির কারাদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তার মা ফাতুমাতা দিয়াগুরাগা। পরিবারের অভিযোগ, ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে নিতে খুনিকে মানসিক রোগী হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে।
গত ২৫ এপ্রিল ফ্রান্সের গার্দ অঞ্চলের খদিজা মসজিদে নামাজের সময় ভয়াবহ এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। হামলাকারী অলিভিয়ে এইচ. মসজিদে এসে সিসের কাছে নামাজ শেখার অনুরোধ জানায়। কিন্তু সিজদার সময় হঠাৎই সে সিসেকে প্রায় ৫০ বার ছুরিকাঘাত করে এবং পুরো ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
হত্যার পর খুনি ইতালির পিস্তোইয়া শহরে পালিয়ে যায় এবং দুই দিন পর ২৭ এপ্রিল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে তাকে ফ্রান্সে হস্তান্তর করা হয়। প্রথমে ফরাসি কর্তৃপক্ষ তাকে হত্যাকাণ্ডের দায়ে আটক করলেও ২০ জুন তাকে দক্ষিণ ফ্রান্সের এক মানসিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আবু বকর সিসের মা ফাতুমাতা অভিযোগ করেন, “যদি তাকে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে সে আমার ছেলের মতো অন্য কারও জীবন নেবে।” পরিবারের নিয়োজিত আইনজীবীরাও খুনির মানসিক অসুস্থতার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অন্যদিকে, ভিকটিমের চাচাতো ভাই ইউরো সিসে জানান, হাসপাতালের রিপোর্টে মানসিক সমস্যার কথা উল্লেখ থাকলেও তা মিথ্যা প্রমাণে আইনি লড়াই চলছে। তার দাবি, এই হত্যাকাণ্ড সরাসরি ধর্মবিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়ার ফলাফল।
২৪ বছর বয়সী আবু বকর সিসে নিয়মিতভাবে মসজিদ পরিষ্কার করতেন এবং জুমার নামাজের আগে স্বেচ্ছাশ্রম দিতেন। সিসেদ্বারা সিজদার সময় খুন হওয়ার ঘটনাটি ফ্রান্সে মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

আপনার মতামত লিখুন