
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কিছু অংশ মেনে নিয়েছে হামাস। তবে গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার প্রতি আংশিক সমর্থন জানিয়েছে হামাস। শুক্রবার সংগঠনটি জানায়, তারা প্রস্তাবের অনেক দফা মানতে রাজি হলেও কিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি— জীবিত কিংবা মৃতদেহ— ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বিনিময় সূত্র অনুযায়ী। তবে এজন্য প্রয়োজনীয় মাঠপর্যায়ের শর্তগুলো নিশ্চিত করতে হবে। হামাস আরো জানায়, তারা অবিলম্বে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
গাজার প্রশাসন হস্তান্তর প্রসঙ্গে হামাস জানিয়েছে, তারা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত, যা জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব-ইসলামি সমর্থনের ভিত্তিতে গঠিত হবে। তবে গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ প্রস্তাব ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক আলি হাসেম মন্তব্য করেন, হামাসের এই অবস্থান আলোচনার নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বড় ধরনের অগ্রগতি হতে পারে। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজাকে পশ্চিম তীর থেকে আলাদা রেখে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পথ না রাখায় হামাস আপত্তি তুলতে পারে। এছাড়া গাজার তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন এবং তাতে টনি ব্লেয়ারকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও তাদের আপত্তি থাকতে পারে।
হাসেমের মতে, হামাসের আপত্তি আসলে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর অভিন্ন অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, তারা যে কাগজে সই করেছে তা ট্রাম্প প্রকাশিত পরিকল্পনার থেকে ভিন্ন।
হামাস জানিয়েছে, এই সংকট সমাধানে আরব, ইসলামি ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এবং ট্রাম্পের উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কিছু অংশ মেনে নিয়েছে হামাস। তবে গাজার ভবিষ্যৎ ও ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনার প্রতি আংশিক সমর্থন জানিয়েছে হামাস। শুক্রবার সংগঠনটি জানায়, তারা প্রস্তাবের অনেক দফা মানতে রাজি হলেও কিছু বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি— জীবিত কিংবা মৃতদেহ— ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বিনিময় সূত্র অনুযায়ী। তবে এজন্য প্রয়োজনীয় মাঠপর্যায়ের শর্তগুলো নিশ্চিত করতে হবে। হামাস আরো জানায়, তারা অবিলম্বে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
গাজার প্রশাসন হস্তান্তর প্রসঙ্গে হামাস জানিয়েছে, তারা একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট সরকারের হাতে দায়িত্ব দিতে প্রস্তুত, যা জাতীয় ঐকমত্য এবং আরব-ইসলামি সমর্থনের ভিত্তিতে গঠিত হবে। তবে গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণ অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ প্রস্তাব ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে হতে হবে।
আল জাজিরার সাংবাদিক আলি হাসেম মন্তব্য করেন, হামাসের এই অবস্থান আলোচনার নতুন সুযোগ তৈরি করেছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বড় ধরনের অগ্রগতি হতে পারে। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজাকে পশ্চিম তীর থেকে আলাদা রেখে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পথ না রাখায় হামাস আপত্তি তুলতে পারে। এছাড়া গাজার তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক সংস্থা গঠন এবং তাতে টনি ব্লেয়ারকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও তাদের আপত্তি থাকতে পারে।
হাসেমের মতে, হামাসের আপত্তি আসলে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর অভিন্ন অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ, তারা যে কাগজে সই করেছে তা ট্রাম্প প্রকাশিত পরিকল্পনার থেকে ভিন্ন।
হামাস জানিয়েছে, এই সংকট সমাধানে আরব, ইসলামি ও আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা এবং ট্রাম্পের উদ্যোগকে তারা স্বাগত জানায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের হাতে।
আপনার মতামত লিখুন