
নরসিংদীতে শনিবার সকালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ করছে, আরশিনগর মোড় এলাকায় এ হামলায় ৪০–৫০ জনের একটি দলে হামলা চালানো হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. ফরিদা গুলশান আরা কবির জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেনের ঘাড় ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধেছে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় রয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম জানিয়েছেন, বীরপুর এলাকা থেকে ফেরার পথে তিনি দেখেন কয়েকজন সিএনজি থেকে চাঁদা তুলছে। জিজ্ঞাসা করতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে ৪০–৫০ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায়, লাথি, কিল ও ঘুষি মারতে থাকে। পরে তারা তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এই সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হামলার সঙ্গে আরশিনগর মোড়ের পাশে সিএনজি স্টেশনের ইজারাদারের লোকজন জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ জানিয়েছে। তবে ইজারাদার আলমগীর হোসেন দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে পুলিশ অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে এবং তার লোকজন বৈধভাবে কাজ করছে।
অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার লোকজন হামলায় জড়িত নয়। তিনি বলেন, পুলিশের অভিযোগ থাকলে স্থানীয় প্রশাসক বা তাকে সরাসরি জানানো উচিত।
নরসিংদী পৌর প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন জানান, হাইওয়ে সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলতে উচ্চ আদালত নিষেধ করেছে। তবে পৌরসভা থেকে নিষেধাজ্ঞা নেই। আরশিনগর মোড়সহ সাতটি স্থান নির্ধারণ করে ইজারা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সিএনজির জন্য ২৫ টাকা, অটোবাইক জন্য ১০ টাকা হার ধরা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার জানান, আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
বিষয় : আইনশৃঙ্খলা পুলিশ নরসিংদী হামলা চাঁদাবাজি
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
নরসিংদীতে শনিবার সকালে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে দুই চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ অভিযোগ করছে, আরশিনগর মোড় এলাকায় এ হামলায় ৪০–৫০ জনের একটি দলে হামলা চালানো হয়।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. ফরিদা গুলশান আরা কবির জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য আনোয়ার হোসেনের ঘাড় ও পায়ে রক্ত জমাট বেঁধেছে। তিনি মারাত্মকভাবে আহত অবস্থায় রয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম জানিয়েছেন, বীরপুর এলাকা থেকে ফেরার পথে তিনি দেখেন কয়েকজন সিএনজি থেকে চাঁদা তুলছে। জিজ্ঞাসা করতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে ৪০–৫০ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায়, লাথি, কিল ও ঘুষি মারতে থাকে। পরে তারা তাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এই সময় পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হামলার সঙ্গে আরশিনগর মোড়ের পাশে সিএনজি স্টেশনের ইজারাদারের লোকজন জড়িত থাকার অভিযোগ পুলিশ জানিয়েছে। তবে ইজারাদার আলমগীর হোসেন দাবি করেছেন, তার বিরুদ্ধে পুলিশ অবৈধভাবে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, পৌরসভা থেকে ২৫ লাখ টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে এবং তার লোকজন বৈধভাবে কাজ করছে।
অতিরিক্ত সহকারী পুলিশ সুপার শামিম আনোয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেছেন, তার লোকজন হামলায় জড়িত নয়। তিনি বলেন, পুলিশের অভিযোগ থাকলে স্থানীয় প্রশাসক বা তাকে সরাসরি জানানো উচিত।
নরসিংদী পৌর প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন জানান, হাইওয়ে সড়কে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলতে উচ্চ আদালত নিষেধ করেছে। তবে পৌরসভা থেকে নিষেধাজ্ঞা নেই। আরশিনগর মোড়সহ সাতটি স্থান নির্ধারণ করে ইজারা দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সিএনজির জন্য ২৫ টাকা, অটোবাইক জন্য ১০ টাকা হার ধরা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সুজন চন্দ্র সরকার জানান, আহত পুলিশ সদস্যকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
আপনার মতামত লিখুন