
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নিখোঁজ দুই বোন ১৭ দিন পর সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। তাদের বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নিখোঁজ দুই বোন—স্নিগ্ধা রানী (২৪) এবং পূর্ণিমা রানী (১৮)—গত ১৬ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। স্নিগ্ধা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং পূর্ণিমা একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জিডি সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে তাদের ইসলাম গ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। বাবা শৈলেন্দ্র নাথ বর্মণ জানান, মেয়েদের জীবিত আছে কি না, কোথায় আছে তা জানার অধিকার তার আছে।
লালমনিরহাট জজকোর্টের আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম রনি নিশ্চিত করেছেন, দুই বোন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তারা তার কাছে এসে অ্যাফিডেভিট করেছেন এবং সূরা ফাতেহা ও সূরা ইখলাস মুখস্থ করেছেন। পরে নাম পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ নিখোঁজ দুই বোনের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজারহাট ও নাগেশ্বরী থানা পুলিশ নাগেশ্বরী শহরের একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে হাসান ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তবে বাড়ি তল্লাশিতে সহায়তা না পাওয়ায় পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসে।
হাসান ফেরদৌস পুলিশের তল্লাশিকে স্বীকার করেননি। তিনি দাবি করেন, পুলিশ কোনো অবগতির ছাড়াই তার বাড়িতে প্রবেশ করে, এবং এ সময় ২০–২৫ জন যুবক উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, তাদের সঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু ঘটেছে বলে তার অভিযোগ।
২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওতে স্নিগ্ধা রানী বলেন, তারা দীর্ঘদিন আগে ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু ছোট বোন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় অপেক্ষা করেছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর দুই বোন নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হন এবং পরবর্তীতে অ্যাফিডেভিট করে নেন। তারা নিরাপদ অবস্থান করছেন এবং কারো জোরাজুরি বা চাপের কারণে ইসলাম গ্রহণ করেননি।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ নিখোঁজ দুই বোনের সন্ধান পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে নিখোঁজ দুই বোন ১৭ দিন পর সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তারা স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন এবং নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। তাদের বাবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
নিখোঁজ দুই বোন—স্নিগ্ধা রানী (২৪) এবং পূর্ণিমা রানী (১৮)—গত ১৬ সেপ্টেম্বর একসঙ্গে কলেজ যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। স্নিগ্ধা কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং পূর্ণিমা একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জিডি সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার দিন সন্ধ্যায় সামাজিক মাধ্যমে তাদের ইসলাম গ্রহণের খবর ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। বাবা শৈলেন্দ্র নাথ বর্মণ জানান, মেয়েদের জীবিত আছে কি না, কোথায় আছে তা জানার অধিকার তার আছে।
লালমনিরহাট জজকোর্টের আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম রনি নিশ্চিত করেছেন, দুই বোন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তারা তার কাছে এসে অ্যাফিডেভিট করেছেন এবং সূরা ফাতেহা ও সূরা ইখলাস মুখস্থ করেছেন। পরে নাম পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছে।
পুলিশ নিখোঁজ দুই বোনের খোঁজে অভিযান চালাচ্ছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজারহাট ও নাগেশ্বরী থানা পুলিশ নাগেশ্বরী শহরের একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখানে হাসান ফেরদৌস নামে এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তবে বাড়ি তল্লাশিতে সহায়তা না পাওয়ায় পুলিশ সেখান থেকে ফিরে আসে।
হাসান ফেরদৌস পুলিশের তল্লাশিকে স্বীকার করেননি। তিনি দাবি করেন, পুলিশ কোনো অবগতির ছাড়াই তার বাড়িতে প্রবেশ করে, এবং এ সময় ২০–২৫ জন যুবক উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, তাদের সঙ্গে নারীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু ঘটেছে বলে তার অভিযোগ।
২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে প্রকাশিত ভিডিওতে স্নিগ্ধা রানী বলেন, তারা দীর্ঘদিন আগে ইসলাম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, কিন্তু ছোট বোন প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় অপেক্ষা করেছিলেন। ১৬ সেপ্টেম্বর দুই বোন নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হন এবং পরবর্তীতে অ্যাফিডেভিট করে নেন। তারা নিরাপদ অবস্থান করছেন এবং কারো জোরাজুরি বা চাপের কারণে ইসলাম গ্রহণ করেননি।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানিয়েছেন, পুলিশ নিখোঁজ দুই বোনের সন্ধান পাওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আপনার মতামত লিখুন