আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কমানোর জেরে সৃষ্ট মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দাতা দেশগুলোকে দ্রুত তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) নামের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আফগান জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় এখন 'বাস্তবসম্মত ও নীতিভিত্তিক' পথে হাঁটা জরুরি। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং নীতিগত বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে খরচ-সাশ্রয়ী উপায়ে দারিদ্র্য কমানোর কিছু কৌশল তুলে ধরা হয়েছে:
মৌলিক প্রয়োজনগুলো বজায় রাখতে সহায়তা কর্মসূচিগুলোতে কাটছাঁট কমানো।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করা।
বাণিজ্য, অর্থায়ন এবং অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর উপর থেকে বাধা দূর করা।
ICG-এর মতে, "ন্যূনতম যা করা উচিত, তা হলো দাতাদের আইনি এবং নীতিগত বিধিনিষেধগুলো শিথিল করা, যা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করছে।" এমনকি, যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাদেরও এই অর্থনৈতিক শাস্তি বন্ধ করার উপায় খুঁজে বের করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো কেবল আফগানিস্তানে অগণিত জীবন বাঁচাবে না, বরং এই সংকট যেন দেশের সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই ঝুঁকিও কমাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই নিষেধাজ্ঞা এবং বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসের কারণে আফগানিস্তান অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। ওই সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সম্পদের মধ্যে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার স্থগিত করে রেখেছে। বাকি সম্পদ জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সুইজারল্যান্ডে রয়েছে। এর মোকাবিলায়, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন সম্প্রতি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি পাঁচ বছরের "উন্নয়ন কৌশল" উন্মোচন করেছে।
বিষয় : আফগানিস্তান

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা কমানোর জেরে সৃষ্ট মানবিক ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় দাতা দেশগুলোকে দ্রুত তালেবান নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) নামের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আফগান জনগণের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় এখন 'বাস্তবসম্মত ও নীতিভিত্তিক' পথে হাঁটা জরুরি। অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং নীতিগত বিধিনিষেধ শিথিল করে দেশটির অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে খরচ-সাশ্রয়ী উপায়ে দারিদ্র্য কমানোর কিছু কৌশল তুলে ধরা হয়েছে:
মৌলিক প্রয়োজনগুলো বজায় রাখতে সহায়তা কর্মসূচিগুলোতে কাটছাঁট কমানো।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে উৎসাহিত করা।
বাণিজ্য, অর্থায়ন এবং অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর উপর থেকে বাধা দূর করা।
ICG-এর মতে, "ন্যূনতম যা করা উচিত, তা হলো দাতাদের আইনি এবং নীতিগত বিধিনিষেধগুলো শিথিল করা, যা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে বাধাগ্রস্ত করছে।" এমনকি, যেসব দেশ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তাদেরও এই অর্থনৈতিক শাস্তি বন্ধ করার উপায় খুঁজে বের করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপগুলো কেবল আফগানিস্তানে অগণিত জীবন বাঁচাবে না, বরং এই সংকট যেন দেশের সীমান্ত পেরিয়ে ছড়িয়ে না পড়ে, সেই ঝুঁকিও কমাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই নিষেধাজ্ঞা এবং বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসের কারণে আফগানিস্তান অর্থনৈতিকভাবে সংগ্রাম করছে। ওই সময় থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের ৯ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সম্পদের মধ্যে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার স্থগিত করে রেখেছে। বাকি সম্পদ জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সুইজারল্যান্ডে রয়েছে। এর মোকাবিলায়, আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন সম্প্রতি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি পাঁচ বছরের "উন্নয়ন কৌশল" উন্মোচন করেছে।

আপনার মতামত লিখুন