আফগানিস্তানের কাবুলে সদ্য শুরু হওয়া ৩৩তম কৃষি, পশুপালন এবং হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনীতে নারী উদ্যোক্তাদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মোট ২৬৩টি স্টলের মধ্যে ৫৬টি স্টলই নারী ব্যবসায়ীরা তাদের হাতে তৈরি ও ঘরোয়া পণ্য নিয়ে সাজিয়েছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা এই নারীরা তাদের অর্জন তুলে ধরা এবং নির্ভরযোগ্য বাজার খুঁজে পাওয়ার এই সুযোগ পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যা আফগান অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের এক উজ্জ্বল বার্তা দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাদাম বাগ-এ আয়োজিত ৩৩তম কৃষি, পশুপালন ও হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় দিন থেকেই নারী উদ্যোক্তাদের প্রবল উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। চার দিনব্যাপী এই মেলায় কৃষক, পশুপালন কোম্পানি এবং দেশীয় উৎপাদকদের মোট ২৬৩টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে নারী ব্যবসায়ীরা ৫৬টি স্টলে তাদের হস্তশিল্প, কার্পেট, জায়নামাজ ও ঐতিহ্যবাহী বালিশের মতো গৃহজাত পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন, যা অসংখ্য নারী ক্রেতা ও সাধারণ দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করছে।
হেরাত প্রদেশ থেকে আসা বুথ মালিক রোয়া বলেন, "এই প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পেরে এবং নতুন ধারণা পেতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে আমাদের মতো আরও অনেক নারীর স্টল রয়েছে।" আরেক প্রদর্শক ওয়াহিদা জানিয়েছেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই তাদের হাতে তৈরি পণ্য দেখতে ও কিনতে আসছেন।
অংশগ্রহণকারীরা এই ধরনের সুযোগকে তাদের দক্ষতা তুলে ধরা এবং স্থায়ী বাজার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। অন্যদিকে, প্রদর্শকদের একজন মোহাম্মদ আশরাফ জানান, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে, কোম্পানিগুলো এসেছে এবং ফল বিক্রির পাশাপাশি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরেক প্রদর্শক সরদার আগা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা বিদেশেও রপ্তানি হওয়া দেশীয় পণ্য ব্যবহার করেন।
দর্শনার্থীরাও প্রদর্শনীর প্রশংসা করে বলছেন, এই ধরনের ইভেন্ট দেশীয় পণ্যকে সমর্থন করার পাশাপাশি দেশের কৃষি ও পশুপালনের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। দর্শনার্থী নাজনীন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, "এখানে এসে নারীদের পণ্য প্রদর্শন করতে দেখে খুব গর্ববোধ করছি। নারীরা জীবিকা নির্বাহে অবদান রাখছেন দেখে আমি খুশি।" অপর এক দর্শনার্থী ওবায়দুল্লাহ এই প্রদর্শনীকে 'অত্যন্ত কার্যকর ও মনোরম' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের অগ্রগতি ও নতুন উদ্ভাবন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শের মোহাম্মদ হাতামি জানিয়েছেন, প্রদর্শনী আরও দুই দিন খোলা থাকবে এবং নাগরিকদেরকে দেশীয় পণ্য সম্পর্কে জানতে ও কিনতে মেলায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যসহ অন্যান্য স্থানীয় সামগ্রীও রয়েছে।
বিষয় : আফগানিস্তান

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৪ অক্টোবর ২০২৫
আফগানিস্তানের কাবুলে সদ্য শুরু হওয়া ৩৩তম কৃষি, পশুপালন এবং হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনীতে নারী উদ্যোক্তাদের চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। মোট ২৬৩টি স্টলের মধ্যে ৫৬টি স্টলই নারী ব্যবসায়ীরা তাদের হাতে তৈরি ও ঘরোয়া পণ্য নিয়ে সাজিয়েছেন। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা এই নারীরা তাদের অর্জন তুলে ধরা এবং নির্ভরযোগ্য বাজার খুঁজে পাওয়ার এই সুযোগ পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যা আফগান অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণের এক উজ্জ্বল বার্তা দিচ্ছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের বাদাম বাগ-এ আয়োজিত ৩৩তম কৃষি, পশুপালন ও হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শনীতে দ্বিতীয় দিন থেকেই নারী উদ্যোক্তাদের প্রবল উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। চার দিনব্যাপী এই মেলায় কৃষক, পশুপালন কোম্পানি এবং দেশীয় উৎপাদকদের মোট ২৬৩টি স্টল রয়েছে। এর মধ্যে নারী ব্যবসায়ীরা ৫৬টি স্টলে তাদের হস্তশিল্প, কার্পেট, জায়নামাজ ও ঐতিহ্যবাহী বালিশের মতো গৃহজাত পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন, যা অসংখ্য নারী ক্রেতা ও সাধারণ দর্শনার্থীকে আকর্ষণ করছে।
হেরাত প্রদেশ থেকে আসা বুথ মালিক রোয়া বলেন, "এই প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পেরে এবং নতুন ধারণা পেতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানে আমাদের মতো আরও অনেক নারীর স্টল রয়েছে।" আরেক প্রদর্শক ওয়াহিদা জানিয়েছেন, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই তাদের হাতে তৈরি পণ্য দেখতে ও কিনতে আসছেন।
অংশগ্রহণকারীরা এই ধরনের সুযোগকে তাদের দক্ষতা তুলে ধরা এবং স্থায়ী বাজার তৈরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। অন্যদিকে, প্রদর্শকদের একজন মোহাম্মদ আশরাফ জানান, প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে, কোম্পানিগুলো এসেছে এবং ফল বিক্রির পাশাপাশি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। আরেক প্রদর্শক সরদার আগা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন তারা বিদেশেও রপ্তানি হওয়া দেশীয় পণ্য ব্যবহার করেন।
দর্শনার্থীরাও প্রদর্শনীর প্রশংসা করে বলছেন, এই ধরনের ইভেন্ট দেশীয় পণ্যকে সমর্থন করার পাশাপাশি দেশের কৃষি ও পশুপালনের সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। দর্শনার্থী নাজনীন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, "এখানে এসে নারীদের পণ্য প্রদর্শন করতে দেখে খুব গর্ববোধ করছি। নারীরা জীবিকা নির্বাহে অবদান রাখছেন দেখে আমি খুশি।" অপর এক দর্শনার্থী ওবায়দুল্লাহ এই প্রদর্শনীকে 'অত্যন্ত কার্যকর ও মনোরম' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এর মাধ্যমে স্থানীয় পণ্যের অগ্রগতি ও নতুন উদ্ভাবন দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শের মোহাম্মদ হাতামি জানিয়েছেন, প্রদর্শনী আরও দুই দিন খোলা থাকবে এবং নাগরিকদেরকে দেশীয় পণ্য সম্পর্কে জানতে ও কিনতে মেলায় আসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই প্রদর্শনীতে কৃষি ও দুগ্ধজাত পণ্যসহ অন্যান্য স্থানীয় সামগ্রীও রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন