
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্র নেতৃত্ব ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তির ওপর আস্থা রেখে তাঁরা সরকারের উপদেষ্টাদের বিশ্বাস করেছিলেন, কিন্তু এই বিশ্বাসকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, কয়েকজন উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টার আসনে ছাত্র প্রতিনিধিরা যোগদান করেছিল। পরে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে তরুণদের দল এনসিপিকে নেতৃত্ব দেন। এখনও উপদেষ্টা পরিষদে দুইজন রয়েছেন।
উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রদের আসন নেওয়াটা কি ভুল ছিল—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কেউই উপদেষ্টা পরিষদে যেতে চাইনি। আমরা জাতীয় সরকারের আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে রাজনৈতিক ও অভ্যুত্থান শক্তি না থাকলে এই সরকার তিন মাসও টিকত না। প্রথম ছয় মাস সরকারের উৎখাত ও প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলমান ছিল এবং এখনও মাঝে মাঝে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের এবং যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা। কিন্তু আমরা যা বিশ্বাস করেছিলাম, সেই বিশ্বাসকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে। অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থানের শক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। শিগগিরই আমরা তাদের নাম প্রকাশ করবো।”
নাহিদ জানান, উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াঁজো তৈরি করে রেখেছে এবং নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করছে। তিনি বলেন, “যদি তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি ও সাধারণ মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখত, যারা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাহলে তারা এই বিচ্যুতি ঘটাত না। ৫ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে সেজদা দিয়েছে রাজনৈতিক নেতারা, ছাত্ররা নয়।”
তিনি স্পষ্ট করেন যে, উপদেষ্টাদের এই আচরণ এনসিপি এবং ছাত্র নেতৃত্বের জন্য বড় ধাক্কা, কিন্তু দলের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সত্য উদঘাটন ও বিচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয় : এনসিপি প্রতারণা রাজনৈতিক গণঅভ্যুত্থান উপদেষ্টা
বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্র নেতৃত্ব ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তির ওপর আস্থা রেখে তাঁরা সরকারের উপদেষ্টাদের বিশ্বাস করেছিলেন, কিন্তু এই বিশ্বাসকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে। তিনি দাবি করেন, কয়েকজন উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের আদর্শকে উপেক্ষা করে নিজেদের স্বার্থে কাজ করেছেন।
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের উপদেষ্টার আসনে ছাত্র প্রতিনিধিরা যোগদান করেছিল। পরে নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করে তরুণদের দল এনসিপিকে নেতৃত্ব দেন। এখনও উপদেষ্টা পরিষদে দুইজন রয়েছেন।
উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রদের আসন নেওয়াটা কি ভুল ছিল—এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কেউই উপদেষ্টা পরিষদে যেতে চাইনি। আমরা জাতীয় সরকারের আহ্বান জানিয়েছিলাম। তবে রাজনৈতিক ও অভ্যুত্থান শক্তি না থাকলে এই সরকার তিন মাসও টিকত না। প্রথম ছয় মাস সরকারের উৎখাত ও প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলমান ছিল এবং এখনও মাঝে মাঝে থাকে।”
তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের এবং যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের বিশ্বাস করাটা আমাদের জন্য ভুল প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা। কিন্তু আমরা যা বিশ্বাস করেছিলাম, সেই বিশ্বাসকে তারা প্রতারণার মাধ্যমে ভেঙে দিয়েছে। অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থানের শক্তির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। শিগগিরই আমরা তাদের নাম প্রকাশ করবো।”
নাহিদ জানান, উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকেই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াঁজো তৈরি করে রেখেছে এবং নিজেদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করছে। তিনি বলেন, “যদি তারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তি ও সাধারণ মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখত, যারা রাজপথে জীবন দিয়েছেন, তাহলে তারা এই বিচ্যুতি ঘটাত না। ৫ আগস্ট ক্যান্টনমেন্টে সেজদা দিয়েছে রাজনৈতিক নেতারা, ছাত্ররা নয়।”
তিনি স্পষ্ট করেন যে, উপদেষ্টাদের এই আচরণ এনসিপি এবং ছাত্র নেতৃত্বের জন্য বড় ধাক্কা, কিন্তু দলের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা অনুযায়ী সত্য উদঘাটন ও বিচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন