দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় এলে দেশে স্বৈরাচারী শাসন মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এবং চাঁদাবাজি আরও বৃদ্ধি পাবে। সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখা আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগকে 'জাহেলি যুগকেও হার মানানো'র মতো কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির তার বক্তব্যে বাংলাদেশের গত ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের মতো গুরুতর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের অর্থ পাচার করে বিদেশে 'বেগমপাড়া' তৈরি হয়েছে এবং বহু লোক বিদেশে শত শত বাড়ি ও টাকার পাহাড় গড়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। চরমোনাই পীর আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা 'জাহেলি যুগকেও হার মানিয়েছে' এবং 'আইনাঘর তৈরি করে শত শত মানুষকে গুম, খুন করেছে,' যার ফলে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে। তিনি ক্ষমতাসীনদের ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বলেন, এই দেশে আর ফ্যাসিবাদের জায়গা হবে না।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো দেশের কল্যাণ, যা এখনও অর্জিত হয়নি। তিনি নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, যারা 'পিআর' বোঝে না, তাদের বাংলার জমিনে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তিনি সতর্ক করে দেন, যদি পিআর নিশ্চিত না করে আবারও কোনো যেনতেন নির্বাচন হয় এবং বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় আসে, তবে স্বৈরাচার আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে এবং দেশে চাঁদাবাজি আরও বেড়ে যাবে। তিনি মনে করেন, বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না। ইসলামী আন্দোলনের আমির দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, এই দেশ হবে ইসলামের এবং আগামী নির্বাচনে ইসলামী সকল দলের বাক্স হবে একটি, যার মাধ্যমে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ইসলামী আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় এলে দেশে স্বৈরাচারী শাসন মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে এবং চাঁদাবাজি আরও বৃদ্ধি পাবে। সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখা আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগকে 'জাহেলি যুগকেও হার মানানো'র মতো কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী করেন।
ইসলামী আন্দোলনের আমির তার বক্তব্যে বাংলাদেশের গত ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের মতো গুরুতর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশের অর্থ পাচার করে বিদেশে 'বেগমপাড়া' তৈরি হয়েছে এবং বহু লোক বিদেশে শত শত বাড়ি ও টাকার পাহাড় গড়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই দেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। চরমোনাই পীর আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে বলেন, তারা 'জাহেলি যুগকেও হার মানিয়েছে' এবং 'আইনাঘর তৈরি করে শত শত মানুষকে গুম, খুন করেছে,' যার ফলে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি হয়েছে। তিনি ক্ষমতাসীনদের ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে বলেন, এই দেশে আর ফ্যাসিবাদের জায়গা হবে না।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো দেশের কল্যাণ, যা এখনও অর্জিত হয়নি। তিনি নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে বলেন, যারা 'পিআর' বোঝে না, তাদের বাংলার জমিনে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তিনি সতর্ক করে দেন, যদি পিআর নিশ্চিত না করে আবারও কোনো যেনতেন নির্বাচন হয় এবং বিএনপি এককভাবে ক্ষমতায় আসে, তবে স্বৈরাচার আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে এবং দেশে চাঁদাবাজি আরও বেড়ে যাবে। তিনি মনে করেন, বিএনপি শরীয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না। ইসলামী আন্দোলনের আমির দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, এই দেশ হবে ইসলামের এবং আগামী নির্বাচনে ইসলামী সকল দলের বাক্স হবে একটি, যার মাধ্যমে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবেন।
ইসলামী আন্দোলন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুফতি শহীদুল ইসলাম পলাশীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ। এসময় জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আপনার মতামত লিখুন