ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
ঢাকা    রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
কওমী টাইমস

দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় বিদেশি প্রভাব, তথ্যযুদ্ধ ও জঙ্গি সংগঠন নিষিদ্ধের দাবি

বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখতে ৬ দফা আহ্বান 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশ'-এর


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখতে ৬ দফা আহ্বান 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশ'-এর

দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’ ছয়টি জরুরি আহ্বান জানিয়েছে। 'বিদেশি মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি তৎপরতা ও বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে' জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়। বিদেশি প্রভাব, বিভ্রান্তিকর তথ্যযুদ্ধ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখে দেশের ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই সরকার ও দেশবাসীর প্রতি এই পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি তৎপরতা এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশ'। সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তা ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমেদ রফিক দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের উত্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো:

১. ইউপিডিএফসহ সব বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের বিদেশি অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের উৎসের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।

২. সীমান্তপথে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি, সীমান্ত সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ বাড়াতে হবে।

৩. বিদেশি প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যযুদ্ধ প্রতিহত করতে রাষ্ট্রকে আরও সক্ষম ও সক্রিয় হতে হবে।

৪. ঔপনিবেশিক ধারার “আদিবাসী–সেটলার” বয়ান ভেঙে সঠিক ইতিহাসভিত্তিক জনসচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

৫. গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন দেশের অভ্যন্তরে নাগরিক, বিশেষ করে ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী নাগরিকদের হয়রানি ও টার্গেট করা অবিলম্বে বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা, বাহ্যিক হুমকি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা মোকাবিলায় মনোযোগী হয়।

৬. বাঙালি–পাহাড়ি জনগণের পারস্পরিক আস্থা, নিরাপত্তা ও সহাবস্থান জোরদারে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব’উল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা হলো পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র এবং দেশের অখণ্ডতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগীরা নারীর ইস্যুকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত গুরুতর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনী প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদ্রিস। এছাড়া ড. মেহেদী হাসান, মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এই আহ্বানগুলো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

বিষয় : চট্টগ্রাম ইন্তিফাদা

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫


বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখতে ৬ দফা আহ্বান 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশ'-এর

প্রকাশের তারিখ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

দেশের জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’ ছয়টি জরুরি আহ্বান জানিয়েছে। 'বিদেশি মদদে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি তৎপরতা ও বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে' জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়। বিদেশি প্রভাব, বিভ্রান্তিকর তথ্যযুদ্ধ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা রুখে দেশের ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই সরকার ও দেশবাসীর প্রতি এই পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি তৎপরতা এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতার বিরুদ্ধে চলমান ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে 'ইন্তিফাদা বাংলাদেশ'। সোমবার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তা ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আহমেদ রফিক দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সুনির্দিষ্ট ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইন্তিফাদা বাংলাদেশের উত্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো:

১. ইউপিডিএফসহ সব বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠনকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের বিদেশি অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহের উৎসের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।

২. সীমান্তপথে অবৈধ অস্ত্র সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি, সীমান্ত সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ বাড়াতে হবে।

৩. বিদেশি প্রভাব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যযুদ্ধ প্রতিহত করতে রাষ্ট্রকে আরও সক্ষম ও সক্রিয় হতে হবে।

৪. ঔপনিবেশিক ধারার “আদিবাসী–সেটলার” বয়ান ভেঙে সঠিক ইতিহাসভিত্তিক জনসচেতনতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

৫. গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেন দেশের অভ্যন্তরে নাগরিক, বিশেষ করে ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী নাগরিকদের হয়রানি ও টার্গেট করা অবিলম্বে বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা, বাহ্যিক হুমকি ও বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা মোকাবিলায় মনোযোগী হয়।

৬. বাঙালি–পাহাড়ি জনগণের পারস্পরিক আস্থা, নিরাপত্তা ও সহাবস্থান জোরদারে রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজকে সমন্বিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেজর জেনারেল (অব.) মাহবুব’উল আলম বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা হলো পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় জনগণের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র এবং দেশের অখণ্ডতার ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইউপিডিএফ ও তাদের সহযোগীরা নারীর ইস্যুকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত গুরুতর।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ গোয়েন্দা বাহিনী প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মীর ইদ্রিস। এছাড়া ড. মেহেদী হাসান, মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এই আহ্বানগুলো সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত