
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৫ আসনে দলীয় মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, দেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে জামায়াত বদ্ধপরিকর। তিনি আশ্বাস দেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি দমনে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকার রায়েরবাগে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ শেষে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি স্থানীয় জনগণের প্রতি শান্তি ও ন্যায়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
কামাল হোসেন বলেন, “অতীতে যারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা আবার ক্ষমতায় এলে দেশকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীতে পরিণত করবে—এর প্রমাণ ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তাদের চাঁদাবাজি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিজ দলের সাবেক মহাসচিবের পরিবারও রেহাই পায়নি। তাই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজনীতিকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর উত্থাপিত ৫ দফা কোনো দলীয় দাবি নয়; এটি জাতির ভবিষ্যৎ ভাগ্য নির্ধারণের রূপরেখা।”
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা দাবি:
১. ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’ প্রদান— যাতে রাষ্ট্রীয় অন্যায় ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত হয়।
২. ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’— যাতে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা রোধ করা যায়।
৩. ‘সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ’— যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হয়।
৪. ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’।
৫. ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা’।
তিনি বলেন, “জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দিলে ফ্যাসিবাদীরা আবারও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠরোধ করবে। আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হলে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা জবরদখল করে প্রহসনের নির্বাচন করবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণহত্যার বিচার না হলে ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসবে, তারা একই অপরাধে লিপ্ত হতে সাহস পাবে। তাই এই ৫ দফা জাতির অস্তিত্ব রক্ষার দাবি, দলীয় দাবি নয়।”
সভা শেষে মোহাম্মদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় মার্কেট, দোকান ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ০৮ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৫ আসনে দলীয় মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, দেশকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে জামায়াত বদ্ধপরিকর। তিনি আশ্বাস দেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি দমনে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার ঢাকা-৫ সংসদীয় এলাকার রায়েরবাগে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ শেষে অনুষ্ঠিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি স্থানীয় জনগণের প্রতি শান্তি ও ন্যায়ের রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
কামাল হোসেন বলেন, “অতীতে যারা ক্ষমতায় থেকে দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেছে, তারা আবার ক্ষমতায় এলে দেশকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীতে পরিণত করবে—এর প্রমাণ ইতোমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তাদের চাঁদাবাজি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে নিজ দলের সাবেক মহাসচিবের পরিবারও রেহাই পায়নি। তাই সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির রাজনীতিকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিহত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামীর উত্থাপিত ৫ দফা কোনো দলীয় দাবি নয়; এটি জাতির ভবিষ্যৎ ভাগ্য নির্ধারণের রূপরেখা।”
জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা দাবি:
১. ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি’ প্রদান— যাতে রাষ্ট্রীয় অন্যায় ও নির্যাতনের বিচার নিশ্চিত হয়।
২. ‘পিআর পদ্ধতিতে সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচন’— যাতে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা রোধ করা যায়।
৩. ‘সকল রাজনৈতিক দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতকরণ’— যাতে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হয়।
৪. ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা’।
৫. ‘স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা’।
তিনি বলেন, “জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি না দিলে ফ্যাসিবাদীরা আবারও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিরোধী কণ্ঠরোধ করবে। আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন হলে দুর্নীতিবাজ ও সন্ত্রাসীরা জবরদখল করে প্রহসনের নির্বাচন করবে।”
তিনি আরও বলেন, “গণহত্যার বিচার না হলে ভবিষ্যতে যারাই ক্ষমতায় আসবে, তারা একই অপরাধে লিপ্ত হতে সাহস পাবে। তাই এই ৫ দফা জাতির অস্তিত্ব রক্ষার দাবি, দলীয় দাবি নয়।”
সভা শেষে মোহাম্মদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জামায়াতের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় মার্কেট, দোকান ও পথচারীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-৫ আসনের জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা।
আপনার মতামত লিখুন