ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
ঢাকা    বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
কওমী টাইমস

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সাইকেলে ঘুরে প্রতিবাদ, প্রশংসায় ভাসছেন মাদ্রাসাছাত্র সেলিম


কওমী টাইমস ডেস্ক
কওমী টাইমস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫ | প্রিন্ট সংস্করণ

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সাইকেলে ঘুরে প্রতিবাদ, প্রশংসায় ভাসছেন মাদ্রাসাছাত্র সেলিম

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এক তরুণ মাদ্রাসাছাত্র। কুমিল্লার রাস্তায় সাইকেলে ঝোলানো সাইনবোর্ডে লেখা—‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, চাঁদাবাজি ছেড়ে দে।’ অভিনব এই প্রতিবাদে সাড়া ফেলেছেন সেলিম মিয়া নামের এক তরুণ, যিনি সমাজের অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছেন।

‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, চাঁদাবাজি ছেড়ে দে’—এই স্লোগান এখন কুমিল্লার রাস্তায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। স্লোগানটি সাইকেলে টানিয়ে প্রতিদিন পথে নামছেন মাদ্রাসাছাত্র মো. সেলিম মিয়া। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হলেও পড়াশোনা করছেন কুমিল্লার একটি মাদ্রাসায় এবং পাশাপাশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এক প্রতিষ্ঠানে।

বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকার রাস্তায় সাইকেল চালাতে দেখা যায় সেলিমকে। সাইকেলের পেছনে লাগানো প্লে-কার্ডে বড় অক্ষরে লেখা সেই বার্তা—চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আহ্বান।

সেলিম মিয়া বলেন, “আমি এই প্লে-কার্ড লাগিয়েছি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য। দেশে এখন চাঁদাবাজি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যারা চাঁদাবাজি করছে, তারা যেই দলের হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। অন্যায়কারী আমার নিজের ছেলে হলেও তাকে প্রশ্রয় দেব না।”

তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় ইস্যুতে নিজের মতো করে এমন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। শুরু করেছিলেন ‘কাদিয়ানীবাদের’ বিরুদ্ধে স্লোগান লিখে, পরে দেশের নানা ঘটনায়—যেমন ২০০৯ সালে সেনা সদস্য হত্যাকাণ্ড, বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার হরণের ঘটনা, এবং ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’-এ নিহত ছাত্রদের বিচার দাবিতেও সাইকেলে প্লে-কার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সেলিমের ভাষায়, “দেশে যতদিন অন্যায় চলবে, আমি প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। কারও ভয়ে পিছিয়ে যাব না।”

তার এই একক উদ্যোগ ইতোমধ্যেই কুমিল্লা শহরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পথচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই তরুণের সাহস ও দেশপ্রেমের প্রশংসা করছেন।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত বাবুল বলেন, “দেশে পরিবর্তন আসে কিছু সাহসী মানুষের হাত ধরে। সেলিমের মতো মানুষরা সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

একজন সাধারণ শ্রমজীবী হয়েও সেলিম মিয়ার এই প্রতিবাদ প্রমাণ করছে—দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ন্যায়বোধ প্রকাশের জন্য বড় পদ বা প্রভাব নয়, প্রয়োজন শুধু সাহস ও বিবেকের শক্তি।

বিষয় : সামাজিক কুমিল্লা চাঁদাবাজি বিরোধী আন্দোলন

আপনার মতামত লিখুন

কওমী টাইমস

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫


চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সাইকেলে ঘুরে প্রতিবাদ, প্রশংসায় ভাসছেন মাদ্রাসাছাত্র সেলিম

প্রকাশের তারিখ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫

featured Image

চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এক তরুণ মাদ্রাসাছাত্র। কুমিল্লার রাস্তায় সাইকেলে ঝোলানো সাইনবোর্ডে লেখা—‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, চাঁদাবাজি ছেড়ে দে।’ অভিনব এই প্রতিবাদে সাড়া ফেলেছেন সেলিম মিয়া নামের এক তরুণ, যিনি সমাজের অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একাই লড়ে যাচ্ছেন।

‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা নে, চাঁদাবাজি ছেড়ে দে’—এই স্লোগান এখন কুমিল্লার রাস্তায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। স্লোগানটি সাইকেলে টানিয়ে প্রতিদিন পথে নামছেন মাদ্রাসাছাত্র মো. সেলিম মিয়া। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাসিন্দা হলেও পড়াশোনা করছেন কুমিল্লার একটি মাদ্রাসায় এবং পাশাপাশি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এক প্রতিষ্ঠানে।

বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা পুলিশ লাইন এলাকার রাস্তায় সাইকেল চালাতে দেখা যায় সেলিমকে। সাইকেলের পেছনে লাগানো প্লে-কার্ডে বড় অক্ষরে লেখা সেই বার্তা—চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আহ্বান।

সেলিম মিয়া বলেন, “আমি এই প্লে-কার্ড লাগিয়েছি চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর জন্য। দেশে এখন চাঁদাবাজি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। যারা চাঁদাবাজি করছে, তারা যেই দলের হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান। অন্যায়কারী আমার নিজের ছেলে হলেও তাকে প্রশ্রয় দেব না।”

তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় ইস্যুতে নিজের মতো করে এমন প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। শুরু করেছিলেন ‘কাদিয়ানীবাদের’ বিরুদ্ধে স্লোগান লিখে, পরে দেশের নানা ঘটনায়—যেমন ২০০৯ সালে সেনা সদস্য হত্যাকাণ্ড, বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটাধিকার হরণের ঘটনা, এবং ২০২৪ সালের ‘জুলাই বিপ্লব’-এ নিহত ছাত্রদের বিচার দাবিতেও সাইকেলে প্লে-কার্ড ঝুলিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সেলিমের ভাষায়, “দেশে যতদিন অন্যায় চলবে, আমি প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। কারও ভয়ে পিছিয়ে যাব না।”

তার এই একক উদ্যোগ ইতোমধ্যেই কুমিল্লা শহরে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পথচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই তরুণের সাহস ও দেশপ্রেমের প্রশংসা করছেন।

কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত বাবুল বলেন, “দেশে পরিবর্তন আসে কিছু সাহসী মানুষের হাত ধরে। সেলিমের মতো মানুষরা সমাজে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। তার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

একজন সাধারণ শ্রমজীবী হয়েও সেলিম মিয়ার এই প্রতিবাদ প্রমাণ করছে—দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ন্যায়বোধ প্রকাশের জন্য বড় পদ বা প্রভাব নয়, প্রয়োজন শুধু সাহস ও বিবেকের শক্তি।


কওমী টাইমস

সম্পাদক ও প্রকাশক : মুস্তাইন বিল্লাহ
কপিরাইট © ২০২৫ কওমী টাইমস । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত